কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলার শুনানির শুরুতেই বিস্ময় প্রকাশ করল আদালত। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ বেঞ্চ বলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। আর আদালত পদক্ষেপ করলে তা এক্তিয়ারবহির্ভূত বিষয় হবে কেন। বিচারপতি বসাক বলেন, যখনই কেউ কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নেন, তখনই তিনি জেনে নেন যে মেধা তালিকা প্রকাশ হবে। সেই তালিকা প্রকাশ হলে কারও সম্মানহানি কেন হবে, প্রশ্ন বিচারপতির।
মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, মেধা তালিকা প্রকাশ্যে এলেই তো সবাই সবার নম্বর জানতে পারবেন। তখন সত্যিটা সবার সামনে চলে আসবে। তাই কমিশন বা সরকারের অসুবিধা। সত্যিটা এটাই যে, চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত শুরু হয়েছে, কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, অনেক নেতা-মন্ত্রী জেলে গিয়েছেন। বিকাশের অভিযোগ, ঘোষিত শূন্য পদের থেকে বেশি চাকরি দেওয়া হয়েছে। বেআইনিভাবে অতিরিক্ত শূন্য পদের মাধ্যমে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পরিকল্পিত দুর্নীতি হয়েছে। তিনি জানান, এই ধরনের একাধিক মামলায় বেতন বন্ধ এবং বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে একক বেঞ্চ। আদালতে এমন সওয়ালও করা হয়েছিল যে, অনেকদিন ধরে কাজ করছে, তাই চাকরি থেকে সরানো যাবে না।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন নেতাই গণহত্য়া কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রথীন দণ্ডপাট
বিচারপতি বসাক বলেন, কে কতদিন কাজ করেছেন, সেটা বড় কথা নয়। মুল বিচার্য হল, নিয়োগ বৈধ হয়েছে কি না। আইনজীবী বিকাশ বলেন, সংরক্ষিত পদের আসন নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে। চাকরিহারাদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলাকারীদের চাকরি চলে যায়। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যান। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। একক বেঞ্চ একতরফা এই ধরনের নানা নির্দেশ দিয়েছে মামলাকারীদের বক্তব্য না শুনেই। কল্যাণের আরও অভিযোগ, বেছে বেছে বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই চাকরিপ্রার্থীরা মামলা করেছেন। কেন অন্য এজলাসে মামলা হয়নি। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামিকাল মঙ্গলবার।