সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে, পুজোর পর নভেম্বরের শুরুতেই সম্ভবত খুলে যাবে রাজ্যের স্কুল কলেজ। নিয়ম অনুযায়ী ভাই ফোঁটার পরেই স্কুল কলেজে ক্লাস শুরু হয়। এ বছর ৬ নভেম্বর ভাইফোঁটা। পরের দিন ৭ নভেম্বর রবিবার। তৃতীয় ঢেউ যদি ভয়াবহ না হয়, তাহলে ওই সময় রাজ্যের স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া হবে। সোমবার নবান্নে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : বৃদ্ধি নয়, শেষ অনুমোদন অনুযায়ী নিতে হবে বাসের ভাড়া, নির্দেশ নবান্নের
কোভিড পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে জাতীয় বিপর্যয় কমিটি একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জমা দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অক্টোবর মাসেই ভয়াবহ আকার নিতে পারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃতীয় ঢেইয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কম বয়সীদেরও। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের জন্য যে টিকা, তা এখনও বাজারে আসেনি। তাই রাজ্য এখনই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেরল এবং মহারাষ্ট্রের তুলনায় আমাদের রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। যদি না এর মধ্যে মারাত্মক কিছু ঘটে যায় এবং সংক্রমণ যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেক্ষেত্রে পুজোর পরে স্কুল কলেজ খুলে দিতে কোনও বাধা থাকবে না। ততদিনে জাইকোভ-ডি টিকা বাজারে চলে আসতে পারে। এই টিকাই ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য কেন্দ্রের ছাড়পত্র পেয়েছে।
আরও পড়ুন : কোভিডে মৃত্যু গৃহকর্তার, শোকে আত্মঘাতী মা-মেয়ে
কিছু দিন আগেই রাজ্যের গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিল নবান্ন। ওই বৈঠকে তৃতীয় ঢেউ কী ভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। রাজ্যের স্কুল কলেজ খোলার বিষয়টি নিয়েও বিশেষজ্ঞদের মত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই পুজোর পরে স্কুল খোলার বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করে দেখবে বলে জানায় রাজ্য সরকার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় চলতি শিক্ষা বর্ষে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিক করে দেয় সরকার।
আরও পড়ুন : কোভিড ঠেকাতে প্রতি সপ্তাহে সংসদ অফিসারদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা
পুজোর পর স্কুল ও কলেজ গুলিকে স্যানিটাইজ করা হবে। পরিস্থিতি কেমন থাকে, তা পর্যবেক্ষণ করেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। সরকার চায়, স্কুল ও কলেজগুলি শুরু হোক। ছাত্রছাত্রীরাও নিরাপদে স্কুলে আসুক। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ যদি ফের ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তাহলে স্কুল খুলবে না, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, বাংলার পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় ভাল আছে। ১%’র আশেপাশে রয়েছে করোনার গ্রাফ। মহারাষ্ট্র ও কেরলে দিনে দিনে করোনার হার বাড়ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেক স্বাভাবিক। তাই করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স্কুল ও কলেজ খুলবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।