ওয়েব ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে (Supreme Court Verdict) প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। বিক্ষোভ, আন্দোলন চলছে রাজ্যজুড়ে। এই অবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) পাঁশকুড়া এলাকার একাধিক স্কুলে দেখা মিলছে তথাকথিত ‘এআই শিক্ষক’-এর (AI Teacher)। যদিও ‘এআই’ বলতে এখানে কোনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) রোবট নয়, মানুষজনকেই বোঝানো হচ্ছে, যাঁরা বাংলা, সংস্কৃত, এমনকি অন্যান্য বিষয়ের ক্লাসও নিচ্ছেন।
চাঁপাডালী উচ্চ বিদ্যালয়, প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দনগর উচ্চ বিদ্যালয়, মাংলই রাধারাণী হাইস্কুল— এই স্কুলগুলিতে ইতিমধ্যে দুজন করে ‘এআই শিক্ষক’ নিয়মিত পড়াচ্ছেন। অথচ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা জেলাশাসকের শিক্ষা বিভাগ এই সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাঁদের কাছে কোনও সরকারি নিযুক্তি চিঠিও নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও চলছে পড়াশুনা।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম রায়ে সংকটে স্কুল, গ্রুপ-ডি কর্মীর কাজও করছেন হেডমাস্টার
জানা গিয়েছে, এই শিক্ষকরা সমাজমাধ্যম ও সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন দেখে একটি ফর্ম পূরণ করেন। পরে অনলাইনে একটি পরীক্ষা ও ইন্টারভিউর মাধ্যমে তাঁরা বাছাই হন। তাঁদের দাবি, ইমেল মারফত অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাঠানো হয়েছে, তবে তা দেখাতে অস্বীকার করেন তাঁরা।
এই গোটা প্রক্রিয়ার পিছনে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা— ‘টেকনো গ্লোবাল ইনস্টিটিউট’। সংস্থাটি বিভিন্ন বিদ্যালয়কে উন্নত মানের ল্যাব তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি জানিয়েছে, তাদের পাঠানো শিক্ষক নিয়োগ করলে তাঁদের বেতন দিতে হবে না, বেতন দেবে সংস্থাই। এই প্রস্তাব পেয়ে শিক্ষক সংকট মোকাবিলায় প্রধান শিক্ষকরা এই ‘এআই শিক্ষক’ নিয়োগ করেছেন।
তবে এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য বিদ্যালয় পরিদর্শক। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “এভাবে কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয় না। এই নিয়োগের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।”
দেখুন আরও খবর: