কলকাতা: হরিদেবপুর কাণ্ডে (Haridevpur) বিস্ফোরক তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই হোম চলত বিদেশি বিনিয়োগে। তবে এটি স্কুল নাকি স্কুল কাম হোম, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি হোমের অনুমতি না থাকে তাহলে কীভাবে এত বিশেষভাবে সক্ষমদের এতদিন ধরে ওই হোমে রাখা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে এই ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই তিনজন নির্যাতিতার মধ্যে দুজন নাবালিকা। তবে বাকি একজনও নাবালিকা থাকাকালীন নির্যাতিত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ওই হোমে মোট ৩৯ জন নাবালিকা সহ ৮১ জন থাকত। রাজ্য শিশু রক্ষা কমিশন সূত্রে খবর, হোমের সকলকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর তাদের কাউন্সেলিং করা হবে। এর ফলে বোঝা যাবে ওই তিনজন ছাড়া আর কেউ শারীরিক নির্যাতন হয়েছে কি না।
আরও পড়ুন: ভারতীয় রেলের গতিশক্তি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর এয়ারবাসের
উল্লেখ্য, হরিদেবপুরের (Haridevpur) হোমে নাবালিকাদের (Minors) উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই হোমের কর্ণধার, প্রিন্সিপাল ও রাঁধুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাঁধুনির বিরুদ্ধে দুজন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তিনজন নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃত ওই তিনজনকে আদালতে পেশ করা হবে। পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, হোমের সমস্ত নাবালিকাদের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানাবে পুলিশ।