নয়াদিল্লি: বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) জন্য আরও ৩১৫ কোম্পানি বরাদ্দ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। মঙ্গলবারই কমিশন ২২ কোম্পানি ফোর্সের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রিক্যুইজিশন পাঠিয়েছিল। বৃহস্পতিবার আরও ৮০০ কোম্পানি ফোর্সের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এদিন রাতে সেই জবাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Amit Shah)। তিনি জানিয়েছে, তারা ২২ কোম্পানি ফোর্স ইতিমধ্যে অনুমোদন করেছে। আরও ৩১৫ কোম্পানি ফোর্স আপাতত দিতে পারবে। অর্থাৎ ৩৩৭ কোম্পানি ফোর্স অনুমোদন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুক্রবার থেকেই সেই বাহিনী রাজ্যে আসতে শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ভিনরাজ্যে স্পেশাল আর্মড পুলিশও আসছে রাজ্যে।
রাজ্যের ২৩ জেলায় আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। সব জেলা মিলিয়ে মোট ৬১ হাজার বুথ রয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রথমে প্রতিটি জেলার জন্য ১ কোম্পানি বাহিনী অর্থাৎ ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল। এরপরই বিরোধীরা রে রে করে তেড়ে ওঠে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছে কমিশন। শাসকদল ভোট লুঠের রাজনীতি করছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে নারাজ। কমিশনের নিজের অবস্থানে স্থির থেকে জানিয়েছে, ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের নজরদারিতে ভোট করা হবে। বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমের তোপের মুখে পড়তে হয়। কমিশনের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনিহা দেখে প্রধান বিচারপতি কমিশনের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, নির্দেশ না মানতে পারল ছেড়ে দিন। আমাদের উপরে ছেড়ে দিন। আমরা সবটাই দেখে নিচ্ছি। দরকার হলে রাজ্যপাল নতুন কমিশনার নিয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | বাহিনী নিয়ে বৈঠকে কমিশন ও পুলিশ
সন্ত্রাস ঠেকাতে প্রধান বিচারপতি কমিশনকে নির্দেশ দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে সব জেলায় পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে হবে। ২০১৩ সালের থেকেও বেশি পরিমান বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। আদালতের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাঠে অতিরিক্ত ৮০০ বাহিনীর জন্য আবেদন জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, একদফায় ভোট, কোনও সরকারের পক্ষে সম্ভব নয় এক সঙ্গে ৮০০ বাহিনী পাঠানো। যদি সন্ত্রাস হীন ভোট করতে হয় তবে এক দফায় নয় কয়েক দফায় ভোট করাতে হবে। ২০১৩ সালেও এই জন্য ভোট কয়েক দফায় করতে হয়েছিল।