মাজদিয়া: পাটিসাপটা (Patisapta), দুধপুলি (DudhPuli), নলেন গুড়ের (Nolen Gur) মোয়া, মালপোয়া (Malpoya)। মিষ্টর দোকানে (Mistir Dokan) থরে থরে সাজানো। শীতটা (Winter) এখনও ঠিকমতো জমেনি। পৌষ সংক্রান্তি (Poush Sankranti) দোরগোড়ায়। তাই বাদ দিলে চলবে না। সেখান থেকে কিনেই উদর পূর্তি। আর মনে মনে বাড়িতে ঠাকুমার বানানো পিঠে পুলির কথা ভেবে নস্টালজিক (Nostalgic) হওয়া। এটাই এখন রীতি হয়ে গিয়েছে। তাই শহরতলি থেকে কসমো পলিটন এলাকা সর্বত্র মিষ্টির দোকানে পিঠে পুলির বিক্রি বাড়ছে। বিভিন্ন রকম শীতকালীন পিঠেপুলি তৈরি করতে ব্যস্ত মিষ্টি বিক্রেতারা। নদীয়া (Nadia) জেলার মাজদিয়ার নলেন গুড়ের সুখ্যাতি রয়েছে। সেই কারণে ওই নলের গুড় দিয়েই তৈরি হচ্ছে রকমারি সব পিঠে (Pithe)। এই পিঠে খেতেই বর্তমানে ভিড় জমছে মিষ্টির দোকানে। এখন বিভিন্ন জায়গাতে স্থানীয় স্তরে মেলা, অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানেও মিষ্টির সঙ্গে পিঠের বিক্রি বাড়ছে। তাতে চাহিদার অন্যতম মূল আকর্ষণ মাজদিয়ার (Majdia) নলেন গুড়ের পিঠে।
পৌষ মাস এলেই পিঠের কথা মনে হয়। গ্রাম বাংলায় পিঠে পুলি অনেকটা উৎসবের (Festival) মতো। ঘরে ঘরে শুরু হয় বাহারি আয়োজন। কিন্তু, এখন সেখানে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে রেডিমেড। অর্থাৎ সারসত্য পরিষ্কার হল, তৈরি করার ঝক্কি হলে মিষ্টির দোকান থেকে কিনে খাওয়া যাবে। কারণ শহর থেকে গাঁ-গঞ্জের পাড়া এলাকা মিষ্টির দোকানে মিষ্টি হিসেবেই বিক্রি হচ্ছে পিঠে পুলি। তার মধ্যে নলেনগুড়ের পিঠের চাহিদা সবসময় বেশি। মাজদিয়াতে নলেন গুড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে পিঠে পুলি। বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে তা। সেখান থেকে কিনে নিয়ে গিয়ে বাইরে বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Weather: শীত কোথায়? মকর সংক্রান্তির পরে নামতে পারে পারদ
শীতকালে আগেকার দিনে মা-ঠাকুমারা (Grand Mother) বাড়িতে মাটির সরায় কিংবা কাঠের উনুনে জাল দিয়ে পিঠে পুলি তৈরি করতেন। তবে এখন এই ব্যস্ততার যুগে অনেক বাড়িতেই সম্ভব হয়ে ওঠে না সেই সব পিঠেপুলি তৈরি করার। তাঁরা ভিড় করছেন মিষ্টির দোকানে। স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় ওই পিঠেপুলির দামও খুব বেশি নয়। তা মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই। সেই কারণে এই সমস্ত পিঠে পুলি খাওয়ার জন্য মাজদিয়ার (Majdia) মিষ্টির দোকানগুলিতে ভিড় লেগেছে ক্রেতাদের।