কলকাতা: চিকিৎসক কুণাল সরকারের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। ১৯ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। আবেদনকারীর কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকল তাও হলফনামা মাধ্যমে জানানো যাবে।
ডাক্তার কুণাল সাহা বলেন, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বাজেটে দেখা যাচ্ছে, বরাদ্দ কমেছে। কিন্তু রাজ্য বলছে, ১ কোটির বেশি মানুষ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা পাছে। এটা কী করে সম্ভব? কোনও পরিবারের ১০ জন সদস্য, কোনও পরিবারের ৩ জন সদস্য। কিন্তু সব পরিবারকে ৫ লক্ষ্য টাকা দেওয়া হচ্ছে। সংবিধানে বলা আছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার। কিন্তু এখানে সেটা মানা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে হাসপাতালকেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বানিয়ে দিতে হবে, নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে বলেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রতি বছর রিনিউ হবে। স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্যের হেলথ রেগুলেটরি কমিশন। অনেক চিকিৎসক নানা কথা বলছেনম, কিন্তু বহু মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন। আবেদনকারী নির্দিষ্ট অভিযোগ দেখাতে পারেনি বলে আদালতে দাবি করেন এজি।
দু’পক্ষের মতামত শুনে আদালত জানিয়েছে, স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে রাজ্য তার অবস্থান হলফনামার মাধ্যমে জানাবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত প্রকল্পগুলির মধ্যে স্বাস্থ্য সাথীর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। পরিবারের মহিলা সদস্যের নামে এই কার্ড দেওয়া হয়। পরিবারপিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সমস্ত চিকিৎসা বিনামূল্যে হয় এই প্রকল্পে। ২০১৬ সালে ৩০ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে বিনামূল্যে হার্টের চিকিৎসা নানুরে