বাঁকুড়া: দক্ষিণবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির পুর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই সতর্কতার পরই সোমবার রাত থেকে জল ছাড়তে শুরু করেছে বাঁকুড়ার (Bankura) মুকুটমণিপুর জলাধার (Mukutmanipur) । গত সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিতে জলাধার প্রায় অনেকটাই ভর্তি হয়ে গিয়েছে। আর এরইমধ্যে এবার ফের দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে সোমবার মধ্যরাত থেকে ৬০০০ কিউসেক (Cusec) জল ছাড়া শুরু করল কংসাবতীর মুকুটমণিপুর জলাধার।
বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর জলাধারে জল আসে মূলত কংসাবতী ও কুমারী নদী দিয়ে। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার দক্ষিণ দিকে ভারী বৃষ্টি হলে ওই দুই নদী দিয়ে হুড়মুড় করে জল ঢুকতে শুরু করে মুকুটমনিপুর জলাধারে। চলতি বছর বর্ষার শুরুতেই পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টি হওয়ায় মুকুটমনিপুর জলাধারে দ্রুত বাড়তে শুরু করে জল। সোমবার মধ্যরাতে মুকুটমনিপুরে জলস্তরের উচ্চতা ছুঁয়ে ফেলে ৪২৫.৯ ফুট। এমনিতে মুকুটমনিপুর জলাধারের মোট জলধারণ ক্ষমতা ৪৩৪ ফুট। মুকুটমনিপুরের ৪ টি গেট দিয়ে মোট ৬০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা তিনদিন মেঘে ঢাকা আকাশ, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
জল ছাড়ার আগে সতর্ক করা হয় কংসাবতীর নিম্ন অববাহিকায় থাকা বাঁকুড়ার একাধিক ব্লক ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে। যদিও মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে ছাড়া এই জলে তেমন বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনা নেই বলে দাবি কংসাবতী সেচ কর্তৃপক্ষের। তবে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেলে সেক্ষেত্রে পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। রীতিমত আতঙ্কেই দিন কাটছে এলাকাবাসীদের।
দেখুন অন্য খবর