দার্জিলিং: সকলেই চাইছেন জিটিএ নির্বাচন হোক। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে জিটিএ নির্বাচন হবে। সোমবার দার্জিলিংয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার ব্যাপারেও রাজ্য সরকার আগ্রহী, তা জানিয়ে দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক৷ কিন্তু পাহাড়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা রয়েছে৷ কেন্দ্রকে বলব আইনটা সংশোধন করুন৷’
পাহাড়ের নেতাদের নিয়ে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মমতা। উপস্থিত ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রতিনিধিরা। পাহাড়ের নেতারাও এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, পৃথক রাজ্য নয়। রাজ্যের ভিতরেই থেকে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে পাহাড়। একদা বিজেপি ঘনিষ্ঠ নেতা রোশন গিরি বলেন, বিজেপি পাহাড়ের মানুষকে ঠকিয়েছে। তবে আগামী ২ এপ্রিল কালিম্পংয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে।
বৈঠক শেষে পাহাড়ের নেতা আমন লামা বলেন, বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল জিটিএ ভোট। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোট হবে। পাহাড়ে পঞ্চায়েত গঠন নিয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে জিটিএর হাতে নিয়োগ ক্ষমতা, শিক্ষকের চাকরিসহ বেশ কয়েকটি দাবিসনদ পেশ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেগুলি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রাখেন তাতে একটা কথা পরিষ্কার যে মুখ্যমন্ত্রীর নজর রয়েছে পাহাড়ের জিটিএ, পঞ্চায়েত বা পাহাড়ের বাকি তিনটে পুরসভার নির্বাচনের দিকে। দার্জিলিং পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল এককভাবে কয়েকটি আসনে লড়লেও আশানুরূপ ফল পায়নি। সেক্ষেত্রে পাহাড়ের আসন্ন নির্বাচন গুলোতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিমল গুরুং বা অনিত থাপারা কি আদৌ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাবে কি না, সেটাই এখন দেখার।