কলকাতা: রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে টুইট করা তাঁর নিত্যদিনের অভ্যাস। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে আসার পর থেকেই জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত সবসময়ই শিরোনামে থেকেছে। গান্ধী জয়ন্তীর সকালেও টুইটে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর পাল্টা রাজ্যপালকে দলদাস বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
টুইটের শুরুতেই মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ করেছেন ধনখড়। তিনি লিখেছেন, গান্ধীজয়ন্তীতে বাপুকে শ্রদ্ধা জানাতে শান্তি ও অহিংসার মহৎ নীতিগুলি বিশ্বব্যাপী অনুশীলন ও প্রচার করা দরকার। পরের অংশেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে লিখেছেন, বাংলার গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে হিংসা ও ভয়ের পরিবেশ দূর করা উচিত।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে রাজ্যপালের ট্যুইট, নেটিজেনরা বলছেন ‘পেঁচা’
ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে বহুবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ‘আক্রান্ত’ মানুষদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে বারংবার টুইট বোমাও ফাটিয়েছেন।
ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে রিপোর্ট নিতে ডিজি-মুখ্যসচিবকে একাধিকবার তলবও করেছেন। রাজ্যপালের হিংসা নিয়ে আজকের টুইটের পর রাজভবন–নবান্ন সংঘাত নতুন মাত্রা পেল। অহিংস আন্দোলনের কথা তুলে ধরে রাজ্যপাল যে রাজ্যের পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন: মোদি-ধনখড় সাক্ষাৎ, রাজ্যপালের দিল্লি সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে জল্পনা
গণতন্ত্র রক্ষায় হিংসা বন্ধের কথা বলেছেন ধনখড়। স্পষ্টই তিনি রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করেতে চেয়েছেন। রাজ্যপালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্যের শাসকদল কী বলে সেটাই এখন দেখার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গান্ধী জয়ন্তীর দিনে এহেন টুইট রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও বাড়িয়ে দিল।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, রাজ্যপাল একজন দলদাস। দয়া করে উনি এইসব টুইট করার আগে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সম্বন্ধে যে সব রিপোর্ট দিচ্ছে সেগুলো লক্ষ্য করুন। বিভিন্ন দপ্তরের উৎকর্ষতার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ সব জায়গাতে এগিয়ে রয়েছে। অবিলম্বে সেই রিপোর্টগুলি দেখে টুইট করুন। পশ্চিমবঙ্গে সর্বদা শান্তির কথা ভাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।