মালদহ: মিজোরামে মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর পর জেলায় ভিআইপি সফরের ঢল নেমেছে। রোজই কোনও না কোনও ভিআইপি রতুয়া, ইংরেজবাজার প্রভৃতি এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছেন, নিহতদের পরিবারদের সমবেদনা জানাতে। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
এদিন মালদহে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে তাঁর মালদহে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণ সেটি ছাড়তে দেরি করার রাজ্যপাল যুবা এক্সপ্রেসড মালদহে পৌঁছন। কোনও সেলুন কারে নয় রাজ্যপাল সেকেন্ড লাস্ট কামরায় অফিসারদের নিয়ে ওঠেন। বেলা ১২টা নাগাদ মালদহ স্টেশনে নামেন তিনি। সেখান থেকে রাজ্যপাল নিহত কয়েকজনের বাড়িতে যান। পরিবারের সদ্যসদের সমবেদনা জানান তিনি। ওই পরিবারগুলির পাশে থাকারও আশ্বাস দেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: কুণাল ও নন্দিনী গুপ্তকে গ্রেফতার করা হয়নি, আদালতে জানাল সিআইডি
এদিনই মালদহে পৌঁছেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র দলের আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচী। তিনি মালদহ স্টেশনেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। কংগ্রেস নেতা বলেন, এই রাজ্যে কাজ নেই বলেই ভিন্রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন বাংলার শ্রমিকেরা। আমাদের দাবি, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং নিহতদের পরিবারের পিছু একজনকে চাকরি দেওয়া হোক।
রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রক নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের প্রতিপরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। হপ্তদের চিকিৎসার জন্যও সরকার ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবারই মালদহে পৌঁছেছেন। এদিনও তিনি মালদহে ছিলেন। সামিরুলও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের তিনি জানান, রাজ্য সরকার সবরকমের সাহায্য করবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তিনি মালদহে এসেছেন। সম্প্রতি তাঁকে মাইগ্র্যান্ট লেবার ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। সামিরুল জানান,পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্পর্কে এই বোর্ড বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে।