কলকাতা: সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হওয়া পড়ুয়ার মা, বাবা দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সেখানে মমতা তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম হবে মৃত পড়ুয়ার নামে। তাই দেরি না করে সোমবার সন্ধ্যায় নদিয়ার বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নামবদলের সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। মঙ্গলবার ওই বিজ্ঞপ্তি পৌঁছয় নদিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই নতুন নাম হবে হাসপাতালটির।
গতকাল নিহত পড়ুয়ার মাকে চাকরির আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বাড়ির কাছেই দেওয়া হবে চাকরি। নিহতের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান দু জনেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হস্টেলে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ছেলের। তার পর সংসারের উপর দিয়ে বহু ঝড় বয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: নুসরতকে তলব ইডির, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে নামবদলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এদিন সকালে সেই চিঠি এসে পৌঁছয় নদিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরে। দু’এক দিনের মধ্যেই মৃত ছাত্রের নামে পরিচিত হবে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতাল। দাদার নামাঙ্কিত হাসপাতালে ছোট ভাই চিকিৎসক হিসেবে সাধারণ মানুষের সেবা করুক, এখন এই স্বপ্নই বুকে পালন করছেন মৃত পড়ুয়ার মা। মৃত পড়ুয়ার মা বলেন, আমাদের প্রিয় মমতা দিদি আমার বড় ছেলেকে চির অমর করে দিলেন। আমি চাই, আমার ছোট ছেলে দিদির আশীর্বাদে ওই হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করার সুযোগ পাক।
গতকাল এদিন নবান্নে সন্তানহারা বাবা-মায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শোকস্তব্ধ পড়ুয়ার বাবা-মা। পুলিশ তদন্তে তাঁরা খুশি তা বলে জানিয়ে দেন মৃত ছাত্রের বাবা। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, একটা ফুলের মতো ছেলেকে ওরা শেষ করে দিল। হাত-পা ভেঙে রেখে দিলেও আমরা আমাদের সন্তানকে হারাতাম না। ওকে মেরে ফেলল। আমরা কী করে বাকি জীবনটা থাকব!