বাঁকুড়ার: জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা ঠেকাতে তৎপর বনবিভাগ (Forest Department)। ড্রোন (Drone), সিসি ক্যামেরা (CC Camera), রাস্তায় নেমে প্রচারের পাশাপাশি বিশেষ নজরদারি বনবিভাগের আধিকারিকদের। আগুন লাগার ঘটনায় ধরা পড়লে মোটা টাকা জরিমানার, বার্তা বনদফতরের। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বনবিভাগের জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা আটকাতে ও আগুনের হাত থেকে বন বাঁচাতে ময়দানে নামেন তাঁরা।
ফি বছর জঙ্গলের পাতাঝরা মরসুমে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন জঙ্গলে। কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে, অথবা অসাবধানতার ফলে এই আগুন লাগার ঘটনাগুলি ঘটে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুকনো পাতায় ধরা আগুন দ্রুত জঙ্গলের ছড়িয়ে পড়ে। জঙ্গল পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বন্য জীবজন্তু। এবার জঙ্গলের আগুন ঠেকাতে আগাম কড়া পদক্ষেপ বনবিভাগের।
আরও পড়ুন: BBC Documentary: সুপ্রিম কোর্ট এখন ভারত-বিরোধী যন্ত্র! বিস্ফোরক অভিযোগ আরএসএস-পন্থী পত্রিকার
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বনবিভাগের বিষ্ণুপুর ও জয়পুর বনাঞ্চলে কড়া নজরদারি শুরু করেছে বনবিভাগ। এই জঙ্গলে রয়েছে নানান প্রজাতির বন্য জীবজ্নতু। এই জঙ্গলগুলিকে আগুনের কোপ থেকে রক্ষা করাই আপাতত বনদফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক দিকে সিসি ক্যামেরায় তদারকি। অপরদিকে, ড্রোনের মাধ্যমে চলবে বিশেষ নজরদারি। আগুন যাতে জঙ্গলে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে সেইজন্য জঙ্গলে পড়ে থাকা শুকনো পাতা ব্লোয়ার ও গ্রাস কাটার মেশিন দিয়ে ফায়ার লাইনও করে রাখছে বনদফতর। এর পাশাপাশি বিষ্ণুপুর জয়পুরের জঙ্গলের রাস্তায় লাগাতার প্রচার ও মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।
জয়পুরে ঘুরতে আসা পর্যটকদের ও পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষের কাছে পৌঁছে জঙ্গলের আগুন আটকানোর বার্তাও দিচ্ছেন বনদফতরের উচ্চ আধিকারিকরা। আগুন লাগানোর ঘটনায় ধরা পড়লে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানাচ্ছে বনবিভাগ।
বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বনবিভাগের বিভাগীয় প্রধান অঞ্জন গুহ জানান, বনদফতরের এই পদক্ষেপ এবং আগুন লাগার ঘটনা ঠেকাতে বিভাগের আধিকারিকরা যেভাবে মাঠে নেমেছেন,তাতে সকলের সহযোগিতা করা উচিত।