ক্যানিং: বৃহস্পতিবার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তিন কর্মীকে গুলি করে খুন করার ঘটনায় শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে সিআইডির তিন প্রতিনিধি দল পৌঁছন। এছাড়াও ফরেনসিক টিমের প্রতিনিধিরাও ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ করেন। বম্ব স্কোয়াডও ঘটনাস্থলে এসে খতিয়ে দেখে সবকিছু।
ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালায় তাঁরা। রফিকুলের পরিবার স্বীকার করে এর আগে এক তৃণমূল নেতা খুনের সঙ্গে সে জড়িয়ে ছিল। কিন্তু এই খুনের ঘটনায় তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও দাবি করে রফিকুলের পরিবার।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে ক্যনিং থানার পুলিস। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। ধৃতদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার এলাকা থমথমে। আতঙ্কে রয়েছে এলাকার মানুষজন। ঘটনাস্থলে বসানো হয়েছে পুলিস পিকেট। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণেই এই পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ১২ জুলাই পাহাড়ে মমতা, থাকবেন জিটিএ-র শপথে
ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস জানান, বৃহস্পতিবার ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন স্বপন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কর্মী ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামাণিক। তখনই এই ঘটনা ঘটে।
ক্যানিংয়ে খুনের ঘটনায় এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সিদ্ধিনাথ গুপ্তা জানান, ইতিমধ্যে পুলিসের কাছে একাধিক সূত্র এসেছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি তা সমাধান হবে বলেও জানান তিনি। তবে এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই বলেই প্রাথমিক অনুমান প্রশাসনের।