কলকাতা: বাংলাদেশি নাগরিক নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছে এই রাজ্যের শাসকদলের হয়ে। ভারতীয় পরিচয়পত্র না থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের লড়াই করছে বেশ কয়েকজন এমন বিস্ফোরক অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার সেই মামলার নিষ্পত্তি করলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম (Chief Justice TS Sivagnanam)।
নিষ্পত্তি হলেও প্রধান বিচারপতি বলেন, তবে এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকারের প্রশ্নই ওঠে না, তাই নির্দিষ্ট আইন আনার প্রয়োজন রয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি হলেও যে কেউ এই অভিযোগে মামলা করতেই পারে ।
আবেদনকারীর দাবি ছিল, রাজ্যে নির্বাচনের পর দেখা গিয়েছে দু’ জায়গায় এই ধরনের প্রার্থী রয়েছে যারা এই রাজ্যের নন। নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) তাই নির্ধারণ করুক নির্বাচনে কারা অংশ নিতে পারবে আর কারা পারবে না। মালদহতেও একটি নির্বাচনের পরে দেখা গিয়েছে যে প্রার্থী এই দেশের নাগরিক নয়। পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র ব্যবহার করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু ভারতীয় একজনকে বিয়ে করেছিলেন।
আরও পড়ুন: রোবট নয়, মানুষই এখন AI শিক্ষক! পূর্ব মেদিনীপুরে এ কী কাণ্ড?
আলো রানি সরকার ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেন। ২০২৬-এর নির্বাচনেও এই ঘটনা ঘটতে পারে। নতুন প্রক্রিয়া আনা হোক। মনোনয়নের সময় ভোটার আইডি কার্ড আধার কার্ড দিতে হয় তার নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য।
আবেদনকারীর আইনজীবী অমৃতা পান্ডে বলেন, স্ক্রুটিনির সময়ই তো এই কথা বলা যায়। আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জি জানান, নির্বাচন কমিশন এই ঘটনার অংশ তাই তারাও এই বিষয়ে ইস্যু তুলতে পারে যে কেন এটা ঘটছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের সময় নির্বাচন কমিশনের কাজ। কেউ ভারতের নাগরিক কি না তা আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড দেখে যাচাই করার দায়িত্ব কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।
আদালতের নির্দেশ, রিট কোর্ট কখনও এই বিষয় নির্দেশ দিতে পারে না নতুন গাইডলাইন চালু করার জন্য। তাই মামলার নিষ্পত্তি করল আদালত।
দেখুন অন্য খবর: