বীরভূম: একমাস ধরে স্কুলে পড়া করছিল না ছাত্রী। তাই শাস্তি হিসেবে ক্লাস চলাকালীন ছাত্রীকে কান ধরে ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষককে ছাত্রীর বাবা গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই শিক্ষক বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বাঁ হাত মেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ দেখায় অন্যান্য পড়ুয়ারা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বোলপুরের কসবার বাঁধ নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাড়ুই থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের বোলপুর ব্লকের কসবা অঞ্চলের বাঁধ নবগ্রামের ছাত্রি অপরাজিতা দাস। অভিযোগ, ছাত্রী দীর্ঘদিন ধরে ক্লাসে পড়াশোনা করছিল না। সোমবার পড়া না করায় তাকে ক্লাসের বাইরে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখে শিক্ষক। সেই অভিযোগে এদিন স্কুলে যাওয়ার সময় রাস্তায় শিক্ষক উত্তম কুমার সাহাকে বেধড়ক মারধর করে ওই ছাত্রীর অভিভাবক বাসুদেব দাস। গুরুতর জখম হন ওই শিক্ষক। জানা গিয়েছে, মারধরের ফলে তাঁর বাঁ হাত ভেঙে গিয়েছে। আহত শিক্ষক উত্তমকুমারের অভিযোগ, ছাত্রী পড়া না করে আশায় আমি শাসন করায় আমাকে এভাবে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনায় স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখায়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে খবর দেওয়া হয় পাড়ুই থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও গোটা ঘটনায় গা ঢাকা দিয়েছে ওই অভিভাবক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Uttarakhand | Landslides | বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড, ধসের জেরে বন্ধ বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক