জলপাইগুড়ি: গত দুদিন থেকে মুষলধারে বৃষ্টি (Rain) চলছে জলপাইগুড়িতে (jalpaiguri)। প্রতিটি নদী (Rever) প্রায় ফুলেফেঁপে উঠেছে। নদী উঠছে জল ঢুকতে শুরু করেছে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে। কার্যত বন্যা (Flood) পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার উপক্রম।
জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হতে শুরু করেছে। ধূপগুড়ি, বানারহাট, নাগরাকাটা, মেটিলি, মাল প্রতিটি ব্লকেরই প্রায় একই অবস্থা। এদিকে ১২, ১৩ এবং ১৪ জুলাই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। ১৫ এবং ১৬ জুলাই মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা নদীগুলি ফুলে ফেপে উঠেছে। বানারহাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের বাড়িতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সমস্ত বিষয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Himachal Flood | ৯ ফুট জলের তলায় হিমাচলের একটি শহর
এদিকে রাতভর ভুটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির ফলে খারাপ অবস্থা ডুয়ার্সে। ডুয়ার্সের হাতিনালা রীতিমত ফুসছে। ভুটান পাহাড়ের জলে বানারহাট এর হাতিনালার জল উপচে পড়েছে। লক্ষ্মীপাড়া চা বাগান বিন্নাগুরি গয়ারকাটার বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে।
এদিকে সিকিমের অবস্থাও ভয়াবহ। এদিন ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। টানা বর্ষণের জেরে পাহাড়ি রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকায় ধস নেমেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার একতানা ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে রাস্তাঘাট বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বাড়ি-ঘর। চলছে কড়া নজরদারি। ভারী বর্ষণের জেরে আজ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আপার লিংজিয়া এলাকায় ধস নামে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিধসে চাপা পড়ে ৪০ বছর বয়সি এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। সেই ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
একদিকে ভুটান পাহাড়ের লাগাতার বৃষ্টি অন্যদিকে সমতলের বৃষ্টির দোফলায় বিপর্যস্ত আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যেই মাদারিহাটের জামতলা এলাকায় বাঙরি নদীর জলে ভেসে গিয়ে রুহিনাথ ওঁরাও(৬৫) নামের এক বৃদ্ধের। পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে মুজনাই নদীর সংযোগস্থলে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এছাড়াও মুজনাই নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে একটি আইসিডিএস সেন্টার। হলোং নদীর জল ঢুকে বেহাল হয়ে পড়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন রাজ্য পর্যটন দপ্তরের মাদারিহাট ট্যুরিজম লজ চত্ত্বর।