শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি-মালদা ডেমু (DMU) ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের (Train Fire) ঘটনা ঘটে। উত্তর দিনাজপুরের গাইসাল (Gaisal) স্টেশনে ঢোকার মুখেই বিপত্তি। আগুন ধরে যায় ট্রেনের পেছনের ইঞ্জিনে। মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ে শিলিগুড়ি (Sliguri)স্টেশন থেকে ছেড়ে মালদা যাওয়ার পথে ৭৫৭২০ ডেমু (DMU) ট্রেনের অগ্নিকাণ্ডের (Train Fire) ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। তড়িঘড়ি চালককে ফোন করেন গার্ড। থামিয়ে দেওয়া হয় ট্রেন (Train)।
আবারও সেই অভিশপ্ত গাইসাল (Gaisal)। ২৫ বছর কেটে গেলেও গাইসাল (Gaisal) নাম শুনলে আজও গা শিউরে ওঠে সকলের। ১৯৯৯ সালের ২ আগষ্ট রাতে একটার উপর একটা ট্রেন উঠে গিয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ৩০০ জনের। ভয়ঙ্কর সেই রাতের স্মৃতি আজও দগদগে। এরপর বাহানাগা স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রস দুর্ঘটনা, শিলিগুড়ির(siliguri) কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা উস্কে গিয়েছে সেই স্মৃতি। আবারও মঙ্গলবার সেই গাইসাল (Gaisal) স্টেশনেই ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। ট্রেন থামতেই যাত্রীরা নেমে পড়েন ট্রেন থেকে। এলাকাবাসীরা খবর দেন দমকলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে পুড়ে যায় ইঞ্জিনের একটা অংশ। যদিও কোনও হতাহতের খবর নেই।
আরও পড়ুন: বর্ধমানের কাজু পাড়ি দিচ্ছে এবার দিঘায়
ওই ট্রেনের গার্ড আরআর ভারতী বলেন, ‘প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢোকার সময় হঠাৎ দেখি ধোঁয়া। আমি ওই ইঞ্জিনে ছিলাম। তার পরই এমার্জেন্সি ব্রেক মেরে গাড়ি দাঁড় করাই।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎই ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। অনর্গল ধোঁয়ায় চারদিক পুরো সাদা। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে।
আরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, খুব বড় কিছু হয়নি। যাত্রী, চালক, গার্ড সকলেই সুরক্ষিত আছেন। রেলের কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছেন। কী ভাবে আগুন লাগল, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচলত ব্যাহত হয়।
দেখুন অন্য খবর: