তেহট্ট: প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার আপ্তসহায়ক প্রবীর কর কয়াল। আর তার পর থেকেই অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির। স্বয়ং তাপস সাহাও বিষয়টি নিয়ে বিব্রত। বিপদ এড়াতে তিনি দাবি করেছেন, প্রবীর তাঁর আপ্ত সহায়ক ছিলেন না। এরই মধ্যে বড় ধাক্কা খেলেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক। পুলিসের দায়ের করা এফআইআরে তাঁর নাম রয়েছে। সেই এফআইআরের কপি হাতে পেয়েছে কলকাতা টিভি ডিজিটাল।
চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের আপ্তসহায়কের বিরুদ্ধে। যে অভিযোগ ঘিরে তেহট্টের তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের ক্ষোভ ছিল। তাঁদের অভিযোগ ছিল বিধায়ক তাপসের বিরুদ্ধেও। রাজ্য নেতৃত্বকে এব্যাপারে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছিল। অভিযোগ, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তাপস সাহার আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছেন সাধারণ মানুষের থেকে।
চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই টাকা নিলেও তাঁরা কেউই চাকরি পাননি। সেই টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বিধায়কের আপ্তসহায়ক কয়েকজনকে চেক মারফত টাকা দিলেও তা বাউন্স করে। এরপরেই তিনি গা ঢাকা দেন। রাজ্য সরকারের দুর্নীতি দমন শাখা দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থেকে গ্রেফতার করে প্রবীরকে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় শ্যামল এবং সুনীলকে। প্রবীরকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ওই দু’জনকে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: CBI Report-Hanskhali: হাঁসখালি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্টে আদালতে
এফআইআরে নাম রয়েছে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের
বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ অবিলম্বে তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি তোলেন। তিনি বলেন, বিধায়কের মদত ছাড়া তাঁর আপ্ত সহায়ক এত টাকা তুলতে পারে না। বিধায়কের ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে হবে পুলিসকে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও বলেন, এক এক করে তৃণমূলের ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ছে। তাপস সাহার দাবি, দলেরই একাংশ চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।