ভাঙর: সরকারি দফতরে আধিকারিকদের দেখা নেই। অচলাবস্থা পঞ্চায়েতে (Panchayat)। এক দু’দিন নয়, টানা সাড়ে পাঁচ বছর এমনই অবস্থা ভাঙড় (Bhangar) ২ ব্লকের পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এ নিয়ে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে চিঠি পাঠানো হলেও নির্বিকার জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড সাবস্টেশন এলাকায় অবস্থিত পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই এলাকা জমি কমিটির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। এর আগে ওই পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। উপপ্রধান ছিলেন আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলাম। সেই সময় জমি কমিটির প্রবল প্রতিরোধে টানা পাঁচ বছর পঞ্চায়েতে বসতেই পারেননি তৃণমূলের প্রধান, উপ প্রধান। ফলে সাধারণ মানুষ তাঁদের ন্যায্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এরই মাঝে পঞ্চায়েত সচিব সুশান্ত দে সরকারকে মেরে হাত ভেঙে দেয় জমি কমিটির লোকজন। নিরাপত্তার কারণে তিনি দীর্ঘদিন পঞ্চায়েতের পরিবর্তে বিডিও অফিসে বসে কাজকর্ম করেন। সেই কারণে টেন্ডার প্রক্রিয়া চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে পঞ্চায়েত বোর্ড। মাস চারেক আগে নতুন বোর্ড গঠন করে জমি কমিটি। ফলে আতঙ্ক বেড়েছে সচিবের। তিনি পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতে আসতেই চাইছেন না। অন্যদিকে, এই পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট আয়ুব হোসেন গাজী আবার উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। অভিযোগ, তিনি সারা বছর নিজের এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকেন। ফলে নিয়মিত অফিসে আসতে পারেন না।
আরও পড়ুন: অভিযুক্তদের খোঁজে রাতভর পুলিশের তল্লাশি
পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ইসরাফিল মোল্লা বলেন, আমাদের এখানে সহায়ক পদে ও বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে দুজন করে কর্মী থাকার কথা থাকলেও কর্মী একজন করে। আবার সচিবও দিনের পর দিন অফিসে আসছেন না। তাই পঞ্চায়েতের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে, মানুষ সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না। এলাকার তৃণমূল নেতা হাকিমূল ইসলাম বলেন, উন্নয়ন না করে জমি কমিটি শাসনের নামে শোষণ করছে। জমি কমিটি মাটির সিন্ডিকেট চালাচ্ছে, মাটি বিক্রি করছে,গাছ কাটছে। একের পর এক অরাজকতা চালাচ্ছে। কবে হবে এই সমস্যার সমাধান, তা্রই অপেক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
দেখুন আরও অন্য খবর