ওয়েব ডেস্ক : ইডি অফিসার সেজে প্রতারণার অভিযোগ! বুধবার সকালে উত্তাল পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhaman) রায়না থানা এলাকার খেমতা গ্রাম। অভিযুক্তের নাম শেখ জিন্নার আলি। ইডির(ED) নাম করে এক বালি ব্যবসায়ীর থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই অভিযুক্তের বাড়িতে হাজির হন আসল ইডি অফিসাররা। এর পরেই শুরু হয় তল্লাশি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে ৬-৭টি গাড়িতে করে ইডির আধিকারিকরা বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে খেমতা গ্রামে শেখ জিন্নার আলির বাড়িতে পৌঁছান। এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনী অভিযুক্তের বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং ইডি(ED) আধিকারিকরা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন।
আরও খবর : ডিএসপির আয় ২৬ লক্ষ, ব্যয় ২.৬ কোটি, বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট
সূত্রের খবর, শেখ জিন্নার আলীর বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগও রয়েছে। সেই কারণে ডিভোর্স হয় তাদের। এরপর দ্বিতীয় বিয়ের পরেও একই ধরনের নির্যাতনের অভিযোগে মামলা চলছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। এই সমস্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ ইডির পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয় বলে অনুমান। স্থানীয় সূত্রের দাবি, অভিযুক্ত শেখ জিন্না আলির বিভিন্ন সরকারি দফতরের কিছু অসাধু অফিসারের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে। বিশেষ করে কাস্টমস দফতরের কিছু কর্মীর সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল বলেও অভিযোগ। সেই প্রভাব খাটিয়েই একের পর এক প্রতারণা করেছেন তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৫টি বাড়ি রয়েছে জিন্না আলির। বুধবার সকাল থেকেই সে সব বাড়িতেও সমান্তরালভাবে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির(ED) অফিসাররা।
দেখুন অন্য খবর :