কলকাতা: এবার যাদবপুর কাণ্ডে রাজ্য়ের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত করবে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল শিক্ষা দফতর। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে তারা তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে উচ্চ শিক্ষা দফতরে। সেখানে আরও জানানো হয়েছে, উচ্চ শিক্ষা দফতরের গোচরে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু প্রশাসনিক খামতি ও পরিকাঠামোগত ত্রুটি বিচ্যুতি আছে। সেই কারণেই এই তদন্ত কমিটি দিয়ে তদন্ত করে দেখতে চায় শিক্ষা দফতর।
এদিকে হস্টেল সুপারের দাবি, হস্টেলে র্যাগিং চলত। তা জানতেন কর্তৃপক্ষও। যদিও তা থামাতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী হস্টেলে নেশা করা হত বলেও মুখ খুলেছেন তিনি। পাশাপাশি হস্টেলে সিনিয়রদের প্রভাব ছিল বলেও দাবি করেন সুপার।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের পর পূর্ব মেদিনীপুরের সিদ্ধিনাথ কলেজে রাগিংয়ের অভিযোগ
হস্টেলে ব়্যাগিং যে চলত, তা জানা ছিল সুপারের। নতুন ছেলেরা এলেই প্রত্যেকটি রুমে গিয়ে তাঁদের ইন্ট্রো দিতে হত। কিন্তু ইন্ট্রোর নামে যে ছাত্রমৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে, তা ধারণায় ছিল না তাঁর। এমনই দাবি করেছেন যাদবপুরের প্রধান ছাত্রাবাসের এক হস্টেল সুপার। তাঁর দাবি, হস্টেলে যে র্যাগিং হত, নেশার আসর বসত, তা সবই জানেন কর্তৃপক্ষ। যদিও রাতে কোনও গোলমাল হলে কোনও দিনই কর্তৃপক্ষকে পাশে পাননি বলে দাবি করেছেন তিনি। হস্টেল সুপার বলছেন, কর্তৃপক্ষ সবই জানেন। এটা যাদবপুরে আজ প্রথম হচ্ছে না। বরাবরই যাদবপুরে এটা হয়ে এসেছে। কর্তৃপক্ষ সবই জানতেন, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নিতেন না। আমরা কখনও কখনও মৌখিক ভাবে বলেছি। তাঁর আরও দাবি, হস্টেলে মোট দু’জন সুপার রয়েছে। মোট ৬০০ পড়ুয়া থাকেন হস্টেলে। হস্টেলে নজরদারি করতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হত বলেও অভিযোগ সুপারের।