এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনার প্রকোপে সারা দেশে ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা। তার বদলে চলছে গুটিকয়েক যাত্রীবাহী ট্রেন। গত কয়েকদিনে করোনার প্রকোপ বেশ কিছুটা কমতে থাকায় দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। আগামী সোমবার ২১ শে জুন থেকে বিভিন্ন জোনে ৬৬০ টি ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে রেল দফতর সূত্রে।
আরও পড়ুনঃ উড়ন্ত শিখ মিলখা সিংয়ের দৌড় থামল, চলে গেলেন ৯১ বছর বয়সে
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই দেশের নানানপ্রান্তে লকডাউন উঠছে। ফলে টিকিটের চাহিদা বেড়েছে যাত্রীদের মধ্যে। রেল মন্ত্রকের দাবি, যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই সারা দেশে ৬৬০ টি স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এর মধ্যে মেল বা এক্সপ্রেস স্পেশাল চলবে ৫৫২ টি আর উৎসব স্পেশাল চলবে ১০৮ টি। পূর্ব রেল জানিয়েছে, এত দিন ৫২ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলছিল এবং সেগুলির মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। পূর্ব রেলের আওতাভুক্ত ট্রেনগুলির টিকিট সংরক্ষণের প্রক্রিয়া ২০ জুন, রবিবার থেকে শুরু হবে। পূর্ব রেলের টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্র ছাড়াও অনলাইনে টিকিট কাটা যাবে বলে জানিয়েছে রেল। অন্যদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলে ইতিমধ্যেই দূরপাল্লার প্রায় ৮০ শতাংশ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পরিবারের ৪ সদস্যকে খুন করে ফেরার যুবক
এতগুলো নতুন ট্রেন চালুর কথা বললেও সব কটাই এখন যাত্রীবাহী স্পেশাল হিসেবে চলবে। করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত স্বাভাবিক রেল পরিষেবা চালুর কোনও সম্ভাবনাই নেই বলে জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। এতে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, যাত্রী চাহিদা মেনে যদি স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো যায় তাহলে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করতে আপত্তি কোথায়? রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, স্পেশাল ট্রেনের ক্ষেত্রে শুধু নম্বর পরিবর্তিত হয়েছে। এছাড়া কোনও তফাৎ নেই। যদিও যাত্রীদের দাবি, স্পেশাল ট্রেনে খরচ অনেক বেশি পড়ছে।
আরও পড়ুনঃ মিলখা সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মমতার
আগামী ২১ শে জুন থেকে নিউ দিল্লি – দেরাদুন শতাব্দী এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি – কালকা শতাব্দী এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি – অমৃতসর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-রাঁচী শতাব্দী প্রভৃতি ট্রেন চালু হবে। অন্যদিকে রাজ্যে যে সব ট্রেনের পরিষেবা আগামী সপ্তাহের মধ্যে শুরু হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে হাওড়া-রামপুরহাট, হাওড়া-আসানসোল, শিয়ালদহ-নিউ জলপাইগুড়ি, কলকাতা-শিলঘাট, কলকাতা-বালুরঘাট, কলকাতা-লালগোলা এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলি।