নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্ষীয়ান সাংবাদিক চন্দন মিত্র প্রয়াত। বুধবার গভীর রাতে দিল্লিতে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০০৩ থেকে ২০০৯ ও ২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন চন্দন৷ ২০১৮ সাল থেকে তৃণমূলের সদস্য ছিলেন বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক। চন্দনবাবুর মৃত্যুসংবাদ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কুশন মিত্র।
‘দ্য পায়োনিয়ার’ পত্রিকার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সম্পাদক ছিলেন চন্দন। বিজেপি-র প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর ঘনিষ্ঠ চন্দন দুই দফায় (২০০৩ থেকে ২০০৯ ও ২০১০ থেকে ২০১৬) রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন৷ প্রথমবার রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসাবে সাংসদ হন। ২০১০-এর জুনে মধ্যপ্রদেশ থেকে নির্বাচিত করে চন্দনকে রাজ্যসভায় পাঠায় বিজেপি। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেন্দ্র থেকে গেরুয়া শিবিরের টিকিটে ভোটে দাঁড়ান তিনি।
তবে জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন৷ পরে দলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে যোগ দেন দলত্যাগ করেন। ২০১৮ সালে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘বুদ্ধিমত্তা এবং দৃষ্টিভঙ্গির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন চন্দন মিত্র। সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি রাজনীতিতেও নিজেকে সুনামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চন্দনবাবু। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ভাঙতে সক্ষম করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ‘মিউ’, চিন্তায় হু