 
								                                 
                           
                        ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়া আরও সহজ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) জন্য জারি করা হয়েছে ১৬ দফা নির্দেশিকা। সূত্রের খবর, বিহারের তুলনায় এবারের এসআইআর নিয়ম অনেকটাই সরলীকরণ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। যখন বিএলও বা বুথ লেবেল অফিসাররা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাবেন তখন এই নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করে চলতে হবে তাঁদেরকে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত এই গাইডলাইনগুলি মানতে হবে বিএলওদের।
দেখে নেওয়া যাক এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় কী কী গাইডলাইন (Guidelines) অনুসরণ করতে হবে বিএলওদের……
প্রতিটি বুথে বিএলওর (BLO) নাম ও মোবাইল নম্বর লেখা থাকবে। জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটেও সেই তথ্য দেওয়া থাকবে। বর্তমান ভোটার তালিকায় (Voter List) যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের কাছে দু’টি ছাপা এনিউমারেশন ফর্ম দেওয়া হবে। যেখানে থাকবে ছবি, পার্ট নম্বর ও বুথ নম্বর। কোনও বাড়িতে ভোটারকে পাওয়া না গেলে ফর্ম চিঠির বাক্স বা দরজার ফাঁক দিয়ে রেখে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএলওদের। ফর্ম জমা দিতে কোনও নথি লাগবে না, তবে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজে বা পরিবারের সদস্যদের নাম থাকলে সেই লিঙ্ক উল্লেখ করতে হবে ভোটারদের। তার পরেই বিএলওরা কমিশনের দেওয়া মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তা যাচাই করে নেবেন। বিহারে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের সময় ছিল না এই নিয়ম।
আরও খবর : গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ! কারণ কী?
ভোটারদের মোট দুটি ফর্ম দেওয়া হবে। প্রতিটি ফর্মে লেখা থাকবে আবেদনকারীর সমস্ত তথ্য যাচাই করে নিয়েছি। ফর্ম জমা নেওয়ার সময় আবেদনকারীকে দেওয়া ফর্মের একটি কপিতে বিএলওকে (BLO) স্বাক্ষর করতে হবে। আরেকটি ফর্ম তিনি যে জমা দিচ্ছেন সেটা রিসিভ করে ভোটার তার কাছে রেখে দেবেন। যে ফর্মটি ভোটার তার কাছে রেখে দেবেন সেটিতেও বুথ লেভেল অফিসারের সই থাকবে।
প্রয়োজনে বিএলও একাধিকবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম সংগ্রহ করবেন। চাইলে ভোটার সরাসরি ইআরও (ERO) দফতরে গিয়ে জমা দিতে পারবেন। জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারী রিসিপ্ট কপি হিসেবে দ্বিতীয় ফর্মটি বিএলওকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেবেন।
বাড়ির কেউ কাজের জন্য বাইরে থাকলে, সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্য আবেদনকারীর হয়ে স্বাক্ষর করে ফর্ম জমা দিতে পারবেন। তবে শর্ত হল, স্বাক্ষরকারীকে লিখে দিতে হবে আবেদনকারীর নাম ও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক। অন্যদিকে যারা দেশ বা রাজ্যের বাইরে রয়েছেন, তাঁরা ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সিইও-র ওয়েবসাইটে অনলাইনে ফর্ম জমা করতে পারবেন।
ফর্ম জমা দিলেই খসড়া ভোটার তালিকায় নাম উঠবে। জমা না দিলে নাম ওঠার সুযোগ নেই। যারা ফর্ম পূরণ করে জমা দিচ্ছেন না, তাঁদের বাড়িতে বহুবার গিয়ে আবেদন করবেন বিএলওরা। তারপরও জমা না হলে বিএলএদের (BLA) সহায়তা নেওয়া হবে। এমনকি স্থানীয়ভাবে ক্যাম্পও করা হবে। কারা ফর্ম জমা দেননি—তা প্রচার করা হবে।
২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে কোনও লিঙ্ক না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হবে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে দাবি ও আপত্তির জন্য থাকবে ৫৪ দিনের সময়সীমা। ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরও তালিকায় কারোর নাম না উঠলে প্রথমে জেলাশাসকের কাছে, তারপর সিইও’র কাছে আবেদন করা যাবে। এমনকি নির্বাচনের মনোনয়ন পেশ করার শেষ দিন পর্যন্তও নাম তোলার আবেদন করার সুযোগ থাকবে। এই উদ্যোগে ভোটার তালিকা যাচাই আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত হবে বলে কমিশন আশা করছে।
দেখুন অন্য খবর :