কলকাতা: আর ৯ দিন পর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক দল, প্রার্থীদের লাউডস্পিকার ব্যবহার সংক্রান্ত আচরণ জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission)। লাউডস্পিকার নির্বাচনের সময় একসঙ্গে বন্ধ করা যাবে না। কারণ লাউডস্পিকার নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম মাধ্যম। উচ্চ মাত্রায় লাউডস্পিকারের বাজানো যাবে না। সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত করে এবং জনসাধারণ, অসুস্থ মানুষ এবং বিশেষ করে ছাত্রসমাজের বিরক্তির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ অপরিহার্য। সেদিকে নজর রেখেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করছে কমিশন।
বিষয়টির সমস্ত দিক বিবেচনা করার পরে, কমিশন ভারতের সংবিধানের ২৪৩ক অনুচ্ছেদ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতার প্রয়োগে এতদ্বারা আসন্ন পঞ্চায়েত সাধারণ নির্বাচনে লাউডস্পিকার ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়৷ নির্বাচনের ঘোষণার তারিখ থেকে শুরু করে এবং ফলাফল ঘোষণার তারিখের সঙ্গে শেষ হওয়ার পুরো সময়কালে জনসভার জন্য যে কোনও ধরনের যানবাহনে লাগানো হোক বা স্থির অবস্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। সকাল থেকে রাত ১০টা প্রর্যন্ত এই অনুমতি মিলবে।
সমস্ত লাউড স্পীকার উপরে নির্ধারিত সময়ের পরে ব্যবহার করা হলে লাউডস্পিকারের সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হবে। রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা চলন্ত যানবাহনে বা একটি নির্দিষ্ট স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার করলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে।নির্দেশ গুলি পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারদের নজরে রাখতে হবে। এই নির্দেশিকার একটি অনুলিপি সমস্ত রাজ্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পাঠাতো হবে। সব দলগুলি তাদের স্থানীয় ইউনিটগুলিকে এই নির্দেশিকা সমন্ধে অবগত করবে।
আরও পড়ুন: ICC ODI World Cup 2023 | বিশ্বকাপের আগেই আমেদাবাদের হোটেল ৫০ হাজার
কমিশন সূত্রের খবর, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশকিছু জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ শুরু করছে। রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ৷ এখানে মোট ২৭ কোম্পানি বাহিনী বরাদ্দ হয়েছে৷বাঁকুড়ায় মোতায়েন হয়েছে ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ তারপরে উত্তর ২৪ পরগনা৷ এখানে মোতায়েন ২৩ কোম্পানি বাহিনী৷ এছাড়াও, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদিয়া, পুরুলিয়াতেও নিরাপত্তায় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিটি বুথেই সিসিটিভি লাগাতে হবে। যেখানে সিসিটিভি থাকবে না সেখানে ভিডিওগ্রাফি করতে হবে, এমন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। কমিশন সূত্রের খবর, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬। বহু বুথে নজরদারির জন্য সিসিটিভি বাসাতে প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়াও এত বিপুল সংখ্যক সিসিটিভি ভাড়ায় সংগ্রহ করা কতটা সহজ হবে তা নিয়েও কমিশন চিন্তিত।