কলকাতা: আজ একুশে জুলাই৷ তৃণমূলের শহিদ দিবস৷ সেই উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। ধর্মলতায় শহিদ মঞ্চ প্রস্তুত। সেখানে শহিদ বেদিতে মাল্যদানের পর ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভাষণের প্রাক্কলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের জন্য এগারো দফা কর্মসূচি ঘোষণ করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- দশ ঘণ্টা পর মহেশতলা কেমিক্যাল কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
বরাবর এই শহিদ দিবসের কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু হত অনেক আগে থেকে। সমাবেশ, পথসভা করে প্রচার হত। তবে, গত বছর থেকে করোনা আবহাওয়ায় সেসব আর সম্ভব হয় না। কাজেই গত বছরের মতো এই বারও তৃণমূলের ২১ জুলাই শহিদ দিবসের সমাবেশ হবে ভার্চুয়ালি। কর্মী সমর্থকদের মনে ভার্চুয়াল সমাবেশ নিয়েও তৈরি হয়েছে উদ্দীপনা। তবে, এই একুশে জুলাই ভার্চুয়ালি সমাবেশের প্রস্তুতিতেও কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা পালন করার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশগুলি হল- আরও পড়ুন- ২০২১-এ কতজন ভ্যাকসিন পাবেন? সংসদে তৃণমূলকে জবাব দিলেন না মন্ত্রী
১. একুশে জুলাই দুপর ১ টা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে মোবাইলে ১০০ শতাংশ চার্জ দিয়ে রাখতে হবে। সমাবেশ দেখার জন্য ইন্টারনেট বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
২. সমাবেশ শুরু হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেজের লিঙ্ক দুপুর ১:৪৫ এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ( Facebook ও Whatsapp) ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বক্তব্য রাখবেন তখন Like এবং Share করতে হবে।
৪. প্রতিটি তৃণমূলের সদস্যকে কমপক্ষে ২০ টি করে কমেন্ট করতে হবে।
৫. কমেন্টগুলিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্প, উন্নয়নমূলক ও উল্লেখ্যযোগ্য কাজ তুলে ধরতে হবে (যেমন:- স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্য সাথী, দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশন এবং কোভিড, আমফান ও যশ পরিস্থিতি মোকাবিলা)
আরও পড়ুন- করোনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগ কেন্দ্র, ওয়াক আউট তৃণমূলের
৬. একটি কমেন্টের পরে ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে পরের কমেন্ট করতে হবে।
৭. প্রতিটি কমেন্টের পরে নিজের জেলার নাম হ্যাশট্যাগ দিতে হবে। যেমন (#Jhargram_TMCP ),(#PaschimMednipur_TMCP),( #Hooghly_TMCP )
৮. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতক্ষণ লাইভে বক্তৃতা দেবেন ততক্ষণ লাইভে থাকতেই হবে।
৯. যদি কোনও বড় স্ক্রিনে লাইভ দেখানো হয়, সেক্ষেত্রেও ফোনে লাইভ চালিয়ে কমেন্ট করে যেতে হবে।
১০. তৃণমূল কর্মীরা ছাড়াও তাঁদের পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধব সবাইকে অনুরোধ করতে হবে এই ভার্চুয়াল সমাবেশ দেখার জন্য।
১১. এই সমাবেশের লাইভ জেলার পেজ অথবা কোন ফ্যান পেজ থেকে Watch Party করা যাবে না।
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জয়ের পরেই দিল্লি দখলের জন্য অগ্রসর হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল তৃণমূল। সেই সূত্রেই দেশের একাধিক রাজ্যে দেখানো হবে ২১ জুলাইয়ের মমতার ভাষণ। সেই কারণেই কর্মী সমর্থকদের এই ভার্চুয়াল সভা নিয়ে এমন নির্দেশ বলে মনে করছে একাধিক মহল।
আরও পড়ুন- শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দায়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক আন্দোলনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিন ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই। ‘নো আইডেন্টিটি, নো ভোট’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সে দিন মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর। আহত হয়েছিলেন শতাধিক। সে দিনের রাজনৈতিক আন্দোলনকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবছরই একুশে জুলাইকে স্মরণ করেন।
