কলকাতা: দলনেত্রী মমতাকে ‘মা’ সম্বোধন আক্রান্ত সুদীপ রাহার। ভয় না পাওয়ার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীকে। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট সুদীপের। সোমবার সকালে আক্রান্ত তৃণমূল নেতাদের দেখতে হাসপাতালে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খোঁজ নেন তাঁদের স্বাস্থ্যের। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। তারপরই একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন আক্রান্ত যুবনেতা সুদীপ রাহা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন সুদীপ। তাঁর মাথায় মমতার হাত। ছবির তলায় লেখা, ‘তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি’। ঠিক যেভাবে মা ছুটেছেন আক্রান্ত ছেলেকে দেখতে, ছেলেও সেভাবে মাকে ভয় না পাওয়ার আশ্বাসবানী দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জ্যোতিবাবুর জমানায় অবহেলিত ‘নলজাতক’ স্রষ্টাকে স্বীকৃতি দিল মমতা সরকার
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএমে। সোমবার বিশেষ বিমানে কলকাতায় ফেরেন সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত, দেবাংশুরা। রাতেই তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করেন অভিষেক। এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ওই তিনজন। ১০৩ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছিল সুদীপ রাহাকে। ২০৩ নম্বর কেবিনে আছেন জয়া দত্ত। সুদীপ রাহার মাথার স্ক্যান করানো হয়েছে। গুরুতর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে তাঁর মাথায়। তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ট্রমা কেয়ারে। দুজনের অবস্থাই আপাতত স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। অভিযোগ, থানায় আটকে রাখার সময় একবিন্দু জলও দেওয়া হয়নি তাঁদের। এমনকি থানার মধ্যে মাথা ঘুরে পড়ে যান সুদীপ রাহা। সোমবার আদিবাসী দিবসে মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম যাওয়ার আগে দেখা করে যান সুদীপদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় হামলা চালানো হয়েছে অমিত শাহের নির্দেশে: মমতা
ত্রিপুরায় আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই মামলার কোনও মানে নেই। ত্রিপুরায় অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদে আক্রান্ত হতে হয়েছে তাঁদের। ধোলাইয়ের আমবাসায় শনিবার আক্রান্ত হন সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত, দেবাংশু সহ তৃণমূলের নেতারা।তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ত্রিপুরা পৌঁছন ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ ও দোলা সেনের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। শেষপর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে দেবাংশু-জয়াদের জামিন মঞ্জুর করে দেন বিচারক৷ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় সরকার গঠন তৃণমূলের লক্ষ্য৷ সেই নিয়ে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের সঙ্গে সংঘাত বেঁধেছে তৃণমূলের।