কলকাতা: বড়দিন ও পয়লা জানুয়ারি আগেই অভিযান চালিয়ে বড়সড় মধুচক্রের পর্দাফাঁস করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ (Police)। অভিযান চালিয়ে হোটেলের দুই লিজ মালিক সহ সাত জনকে গ্রেফতার করল মন্দারমনি (Mandarmani) উপকূল থানার পুলিশ। পাশাপাশি ১৬ যুবতীকে উদ্ধার (Rescue) করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তরা হল দুই ভাই। হোটেলের লিজ মালিক মন্দারমনির ডেরা গ্রামের সমীর প্রধান ও সোমনাথ প্রধান। বাকিরা হল সুবেড়িয়ার গ্রামের মির্জা সাত্তার বেগ, জুনপুট উপকূল থানার ছোট বানতলিয়া গ্রামের কার্তিক জানা, কাঁথির মহিষাগটের শুভঙ্কর গিরি ও মহিষামুণ্ডা গ্রামের শুভময় পণ্ডা ও পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে তারক মাঝি। উদ্ধার যুবতীদের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দার্জিলিং, ক্যানিং, বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি। বুধবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। উদ্ধার ১৬ জন যুবতীকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হল সিআইএসএফকে
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত ৮ টা নাগাদ কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহার নেতৃত্বে রামনগরের সিআই পবিত্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায়, মন্দারমনি উপকূল থানার ওসি দেবব্রত বেরা সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী তাজপুরে ওই হোটেলে হানা দেয়। তারপরেই চক্ষু ছানাবড়া পুলিশ আধিকারিকরা। হোটেল কর্মীরা পালানোর চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আগে থেকেই পুরো হোটেল ঘিরে রাখে পুলিশ বাহিনী।তারপরে ১৬ জন যুবতীকে উদ্ধার করে ও হোটেলের লিজ মালিক সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও খবর দেখুন