বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো (UNESCO)। তাদের হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেল বাংলার দুর্গাপুজো। বুধবার ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টেফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের (UNESCO) তরফে দুর্গাপুজোকে আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের (Heritage) তালিকাভুক্ত করা হয়। ইউনেস্কো ইন্ডিয়া টুইট করে এই খুশির খবর দিয়েছে৷
দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার খবরে খুশি হয়েছেন অনেকই। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্ট জনেরা। লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (Shirshendu Mukherjee) বলেন, ‘এই স্বীকৃতি অনেক আগেই পাওয়া উচিত ছিল। এ রকম একটা অসাধারণ উৎসব আর কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই। দুর্গাপুজোর সঙ্গে ধর্মের একটা সম্পর্ক আছে বটে, তবে এই স্বীকৃতি উৎসবকেই দেওয়া হয়েছে। আমি খুব খুশি।’
আরও পড়ুন : Durga Puja: ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় বাংলার দুর্গাপুজো
দুর্গাপুজোকে ঘিরে জড়িয়ে আছে বাঙালির আবেগ, আনন্দ। তার উল্লেখ করে লেখক আবুল বাশার (Abul Bashar) বলেন, ‘দুর্গাপুজো বাঙালির জাতীয় উৎসব। হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন সহ যত ধর্মের মানুষ বাংলা ভাষা এবং বাঙালির সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করেন, সেই বৃহৎ বাঙালির জাতীয় জীবনের প্রতীক হচ্ছে দুর্গাপুজো। এটি বাঙালি চেতনার সম্মিলিত রূপ। ধর্মের সীমানা পেরিয়ে এই উৎসব সামাজিক সংহতির প্রেরণা হিসেবে বিকশিত হয়েছে। ইউনেস্কো বিষয়টিকে স্পর্শ করতে পেরেছে।’
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সচেষ্ট নবান্ন
পুজোর শহরে সনাতন দিন্দা (Sanatan Dinda) এক অতি পরিচিত নাম। দুর্গাপুজোর থিম থেকে শুরু করে মণ্ডপ সজ্জা এবং মণ্ডপে অধিষ্ঠিত প্রতিমা, সবেতেই থাকে শিল্পী সনাতন দিন্দার হাতের ছোঁয়া। সেই দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক সংগঠনের হেরিটেজ তালিকায় স্থান পাওয়ার পর শিল্পীর বক্তব্য, ‘আমাদের সার্বিক জয়। বাংলা ও ভারতবাসীর জয়। সামগ্রিকভাবে শিল্পীদের জয়। শিল্পীরা দেখালেন একটা অসংগঠিত শিল্পকে কী করে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে হয়। আমরা দাঁতে দাঁত চেপে কাজ করেছি। এই স্বীকৃতি আমাদের বহু দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’