অন্ডাল: সিংহ নয়, বাঘের পিঠে দুর্গা! মা মদনপুরের চ্যাটার্জি বাড়িতে (Chatterjee’s house in Madanpur Durga Puja) ব্যাঘ্রবাহিনী রূপে আজও পুজিত হন। শারদীয়ার আগমনী সুর বেজে উঠেছে। চার দিকে উৎসবের মেজাজ। পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি, জমিদার বাড়ির পুজো ঘিরে এলাকায় থাকে সাজো সাজো রব। পারিবারিক পুজো হলেও গ্রামের প্রায় সকল মানুষ এই ব্যাঘ্রবাহিনী মায়ের পুজোয় অংশ গ্রহণ করেন। অন্ডালের মদনপুরের জমিদার বাড়ির দুর্গা আজও প্রাচীন প্রথা মেনেই ব্যাঘ্রবাহিনী রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। কথিত আছে অন্ডাল মদনপুরের জমিদার পরিবারের প্রথম জমিদার ‘মহেশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজ থেকে আনুমানিক ২১৮ বছর আগে এই মায়ের পুজো শুরু করেছিলেন।
জমিদার চ্যাটার্জি পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায়, মা দূর্গা মহেশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে স্বপ্নাদেশ দেন তাঁর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করার এবং স্বপ্নে মূর্তি কেমন হবে সেই রূপে মা মহেশ বাবুকে দেখা দেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তার সঙ্গে দুর্গাপুরের মৃৎশিল্পী ভুবন মিস্ত্রিকে ওই একই রূপে দর্শন দেন মা এবং মূর্তি গড়ার নির্দেশ দেন। মা বাঘের ওপরে উপবিষ্ট, তাঁর বাম পার্শ্বে গণেশ এবং ডান পার্শ্বে কার্তিক। মায়ের এই রূপ অন্যত্র খুব একটা দেখা যায় না। প্রথম থেকেই যে নিয়মে পুজোর অনুষ্ঠান চলত তা আজও মেনে হয় পুজো। এখনও জমিদার চট্টোপাধ্যায় পরিবারের অনেকেই যারা কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন তারাও এই পুজোর ক’দিন নিজেদের পিতৃভিটার পুজোয় অনুপস্থিত হতে চান না। প্রায় সকলেই এসে থাকেন এখানে। পুজোর চার দিন নিজ ঘরে রান্না হয় না, মন্দির প্রাঙ্গণে দু’বেলা মায়ের ভোগের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন:শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরিতে এবার এক অন্যরকম দুর্গোৎসব ‘হীরালিনী দুর্গোৎসব’
অন্য খবর দেখুন