কলকাতা: দুয়ারে রেশন প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন রেশন ডিলারদের একাংশ। দুয়ারে রেশন ভবিষ্যতেও চলবে। আদালতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডিলাররা আসেননি। এমনই দাবি করল রাজ্য। মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতি।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, আবেদনপত্রে দেখা যাচ্ছে সেপ্টেম্বর থেকে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও ১৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুরে এই পরিষেবা শেষ হবে। কিন্তু আবেদনকারীদের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের কোন ডিলার নেই। অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, সেপ্টেম্বর থেকেই প্রকল্প চালু হচ্ছে। মানুষের দরজায় ডিলাররা যাবেন। আধার কার্ড ও রেশন কার্ডের বিনিময় রেশন দেওয়া হবে। মোবাইলে ওটিপি আসবে। যদি কোনও অসুবিধা থাকে, পরে রেশন দোকান থেকে তারা রেশন তুলতে পারবেন।
অ্যাডভোকেট জেনারেলের এই কথায় বিচারপতি বলেন, তারমানে দোকান ও দুয়ারে দুটো পরিষেবায় মানুষ পাবে। এই সুবিধা শুধুমাত্র করোনা পরিস্থিতি কালের জন্যই থাকবে?
আরও পড়ুন: শহরে ফের মায়ের কোল থেকে পাচার হল শিশু, তদন্তে লালবাজার
বিচারপতির এই প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, দুয়ারে এসো প্রকল্প ভবিষ্যতেও চলবে। সামান্য কয়েকজন ডিলার আদালতে এসেছেন। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ডিলার আদালতে আসেননি। কোন ডিলারের আইনি অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়নি। আমরা ডিলারদের অতিরক্ত সহায়তা করছি।
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে বাঁশদ্রোণীতে শুটআউট, গ্রেফতার ২
শুনানি চলাকালীন আবেদনকারীর আইনজীবী জয়দীপ কর জবাবে বলেন, রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত আইন বিরুদ্ধ। খাদ্য সামগ্রী নষ্ট হলে দায় কে নেবে? কেন্দ্রের আইন না মানলে লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত হতে পারে। রাজ্যের এ নির্দেশিকা খাদ্য সুরক্ষা আইন অত্যাবশ্যক পণ্য আইনের পরিপন্থী।
তারপরই এদিন দুয়ারে রেশন নিয়ে শুনানি শেষ বলে জানান বিচারপতি অমৃতা সিনহা। শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি।