কলকাতা: শুক্রবার বেহালার পথ দুর্ঘটনার পর টনক নড়ল লালবাজারের। তড়িঘড়ি বেহালা চৌরাস্তার মোড়ে ড্রপ গেট বসাতে চলেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। পথচারীদের রাস্তা পারাপারে নিয়ন্ত্রণ করতে বসানো হচ্ছে ড্রপ গেট। লালবাজার সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডের অনুরোধ পেয়ে তড়িঘড়ি ৫টি ড্রপ গেট বসানোর ছাড়পত্র দিল লালবাজার। ইতিমধ্যে বোহালা চৌরাস্তায় ড্রপ গেট বসানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় গেটটি বসবে বরিশা স্কুলের সামনে। একটি করে গেট বসবে বেহালা ট্রাম ডিপো ও সখেরবাজার এলাকায়। বাকি একটি গেট কোথায় বসানো হবে তা সার্ভে করে দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বেহালা চত্বরে এই প্রথম ড্রপ গেট বসানো হচ্ছে। এদিকে এদিন বিকেলে বাড়িতে এসে পৌঁছয় সৌরনীলের নিথর মৃতদেহ। মৃতদেহ পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা সহ পরিবারের লোকজনেরা।
এদিনের এই ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালা চত্বর। মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের একটি গাড়িতে। বেশ কয়েকটি সরকারি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ডায়মন্ড হারবার রোড। স্থানীয় মানুষজন ও বড়িশা স্কুলের অভিভাবকরা ছুটে আসেন ও দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের প্রিজন ভ্যান সহ বেশ কয়েকটি বাইকে ভাঙচুর চালায়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অভিভাবক ও পুলিশের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ চলে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। স্থানীয়রাও পুলিশকে লক্ষ্য করে যথেচ্ছ ইটবৃষ্টি করে। এর জেরে ৮ জন পুলিশ জখম হন। এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মিছিল করে জেলাশাসক দফতরে স্মারকলিপি জমা কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টির
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ পুরসভার মাটি বোঝাই একটি লরি প্রচণ্ড গতিতে এসে ধাক্কা মারে প্রাথমিকের এক পড়ুয়া এবং তার বাবাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একরত্তি ওই বাচ্চাটির। এরপরই ক্ষোভ আছড়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার রোডে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। স্থানীয় মানুষজন ও বড়িশা স্কুলের অভিভাবকরা ছুটে আসেন ও দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের প্রিজন ভ্যান সহ বেশ কয়েকটি বাইকে ভাঙচুর চালায়।