ওয়েবডেস্ক- দুর্গাপুজো কাটতে না কাটতেই প্রবল দুর্যোগে উত্তরবঙ্গ (North Bengal Disaster)। বহু ক্ষয়ক্ষতি। ভয়াবহ অবস্থায় মিরিক (Mirik)। একের পর এক মৃত্যুর খবর আসছে। ভুটান (Bhutan) থেকেও ভয়াবহ বিপর্যয়ের (Natural Disaster) আশঙ্কা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে (West Bengal Government) সতর্ক করল ভূটান। ওয়াং নদীর টালা বাঁধের গেট না খোলায় বিপদ ঘনিয়ে আসছে। প্রবল বৃষ্টিতে টালা বাঁধের জল উপচে বইছে নদী। তাই জলের চাপে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা। আর বাঁধ ভাঙলে ভাসবে ডুয়ার্সের (Dooars) ভুটানঘাট (Bhutan Ghat) সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
এখনও পর্যন্ত দার্জিলিংয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ১৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্স অঞ্চলেও এখন বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ভুটানের জাতীয় জলবিদ্যা ও আবহাওয়া কেন্দ্র (এনসিএইচএম) জানিয়েছে যে ড্রুক গ্রিন পাওয়ার কর্পোরেশন (ডিজিপিসি) বাঁধের গেটগুলিতে ত্রুটির কথা জানিয়েছে, যা খোলা যায়নি, যার ফলে নদীর জল উপচে পড়ছে, ফলে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এনডিআরএফ (NDRF) জানিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে তাদের বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সকল কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে অতিরিক্ত ১৫ জন উদ্ধারকারীকে মোতায়েন করা হচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস (Weather Reoport) অনুসারে, পূর্ব উত্তর প্রদেশের উপর দিয়ে উৎপন্ন একটি ঝড় পূর্ব দিকে সরে গেছে এবং এখন ডুয়ার্স এলাকার মাদারিহাটের দিকে এগিয়ে আসছে। এর ফলে ভুটানের পাহাড়গুলিতে বৃষ্টি হলেই ভেসে যাবে ডুয়ার্স। উত্তরবঙ্গের নদীগুলি দ্রুত ফুলে উঠবে, ফলে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং মহকুমার বৃষ্টিপাত-কবলিত মিরিক এলাকায় এনডিআরএফ একাধিক দল মোতায়েন করেছে।
আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা! কেন? কী বলছে হাওয়া অফিস
এনডিআরএফের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মোহসেন শাহেদী জানিয়েছেন, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার থেকে ইতিমধ্যেই তিনটি দল পাঠানো হয়েছে, এবং মালদা এবং কলকাতা থেকে একটি করে আরও দুটি দল ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলিতে পাঠানো হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর-