ওয়েবডেস্ক: আইন (Law) কেউ হাতে তুলে নেবেন না। প্ররোচনায় কেউ পা দেবেন না। আইনের রক্ষক হন। ভক্ষক হবেন না। ধর্ম নিয়ে অধর্মের খেলা খেলতে নেই। মাথা ঠান্ডা রাখুন। সোমবার কালীঘাটে স্কাইওয়াকের উদ্বোধনে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওয়াকফ আইনের (Waqf Law) বিরোধিতায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গীপুর মহকুমা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে হিংসা ছড়ানো হয়েছে। পুলিসের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণহানি হয়েছে। ঘটনায় মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এই বার্তা দিলেন। রাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, আইনের বিরোধিতার জন্য আইনের রাস্তা আছে। কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেন।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় কিছু কিছু অংশে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে। তার পিছনে পাকিস্তানের আইএসআই ও বাংলাদেশি জঙ্গী গোষ্ঠীর মদত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে যাদের বাংলাদেশ যোগ রয়েছে। সংখ্যালঘুদের একাংশের বিক্ষোভে অশান্ত পরিস্থিতি সামশেরগঞ্জ, ধূলিয়ান সহ মুর্শিদাবাদের একটি অংশে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীরা উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। বিশেষ করে কট্টরপন্থীরা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় অশান্তি যাতে আর না ছড়াতে পারে সেজন্য রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার মুর্শিদাবাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি নিজে মাঠে নেমে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছেন। বিএসএফের টহল চলছে। এদিন বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি মুর্শিদাবাদে যান।
বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন মালদহে মন্তব্য করেন, সরকারের ১০০টি দোষ মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ১০১টি হলে মানুষ আইন হাতে তুলে নেবেন। উল্লেখ্য, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে।