কলকাতা: তিনি ভাঙেন, কিন্তু মচকান না। বেফাঁস মন্তব্য, কটু বা কুকথায় সিদ্ধহস্ত দিলীপ ঘোষকে বাগ মানাতে ব্যর্থ বিজেপি। সোমবার ফের তিনি সিবিআইয়ের সেটিং নিয়ে মুখ খুললেন। রবিবার প্রকাশ্যেই দিলীপ পশ্চিমবাংলায় সিবিআইয়ের সেটিং নিয়ে বিদ্রুপ করেছিলেন। তাঁর কটাক্ষের বিষয়গুলো ছিল যে, লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে সিবিআই বিক্রি হয়ে যায়। তারা আদতে কোনও কাজের নয়। এখানেও তারা যেসব তদন্ত করতে এসেছিল, তাতে সাফল্য কিছু পায়নি ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, তদন্তের ক্ষেত্রে ইডিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে রেখেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।
এদিনও ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ সাংবাদিকদের সামনে সিবিআইয়ের তুলনায় ইডিকে বেশি নম্বর দেন। তিনি এদিন বলেন, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যে এত টাকা রয়েছে, তা কে জানত! সকলেই শুনেছে যে, অনুব্রতর টাকা রয়েছে, কিন্তু তার পরিমাণ এত তা কি কেউ জানত? সরাসরি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, সিবিআইকে আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু ন্যায় পাইনি। আমাদের ৬০ জন কর্মী খুন হয়েছেন। আদালতের নির্দেশে তার তদন্ত করতে এসেছে তারা। কিন্তু, কজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে সিবিআই, প্রশ্ন তোলেন দিলীপ।
তিনি বলেন, আমরা অধিকার চাই। আমি কুকুর বলেছি, তাতে অনেক নেতার কষ্ট হয়েছে। কিন্তু, কুকুর তো বিশ্বস্ত। আসলে ডাক্তারবাবু ভয় পেয়েছেন। কুকুর যদি তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায়। আমরা অতীতেও এর প্রতিবাদ করেছি। তবে ডাক্তারবাবু বলতে দিলীপ ঘোষ কাকে উদ্দেশ করেছেন তা বোঝা যায়নি। তবে তাঁর এহেন একের পর এক কটাক্ষে বিজেপি নেতৃত্ব যারপরনাই ক্ষুব্ধ বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
দিলীপ ঘোষের সিবিআইকে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণকে দিল্লির নেতৃত্বও ভালো চোখে মেনে নিতে পারছে না। রাজধানীর অন্দরমহলে শোনা যাচ্ছে, সরাসরি সিবিআইকে নিশানা করায় দিলীপ প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরাগভাজন হতে চলেছেন। তাঁর এইসব বক্তব্য দিল্লির নেতৃত্ব চেয়ে পাঠাতে চলেছে বলেও সূত্রে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত কথা বলার জন্য দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও কারও কারও অনুমান।