ওয়েব ডেস্ক: মোদির (Narendra Modi) পর এবার অমিত শাহর (Amit Shah) সভাতেও ডাক পেলেন না দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কয়েকদিন আগেই বঙ্গ বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির সঙ্গে দলের দূরত্বের যে জল্পনা শুরু হয়েছিল, শনিবার তা জোরালো হয়ে উঠল। যদিও এখনও এই দলের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতির বিষয়টিকে এখনও শুধুমাত্র ‘জল্পনা’ বলেই উড়িয়ে দিচ্ছেন খোদ দিলীপ ঘোষ। তবে শাহর সভার আগে এই জল্পনাকে আরও বাড়ীয়ে দিয়েছেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
শনিবার শাহর সভায় ডাক না পাওয়ার বিষয়ে স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ বলেন, “বড় নেতারা আমাকে না ডাকলে আমি যাইনা। বড় নেতাদের একটা মান সম্মান আছে। ওঁরা যাদের ডাকেন তাঁরা যান। আমি যাইনা। আমার যাওয়ার প্রয়োজন হয়না। প্রয়োজন হলে তারা ডাকেন। কি করতে হবে তারাই বলেন। আমি জাস্ট ওটা পালন করি।”
আরও পড়ুন: প্রভাব খাটিয়ে তৃণমূল নেতার মেয়ের চাকরি! বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর
এখনও কি তাহলে বঙ্গ বিজেপির প্রতি অভিমানী দিলীপ? এর জবাবে তিনি বলেন, “কিসের অভিমান? একটা ট্রেন্ড আছে নেতার পিছনে পিছনে ঘোরা। আপনারা হয়তো ভাবেন এটাই ঠিক। বিজেপির একটা ডিসিপ্লিন আছে যে প্রোগ্রামে কাউকে যেতে বলা হয় কর্মীরা সেখানেই যান। কোন নেতা কোথায় যাবে সেটা দল ঠিক করে। আমি ওটা মেনে চলি। ওটাইকেই আমরা ডিসিপ্লিন বলি।”
যদিও বিজেপি-দিলীপের সম্পর্কে ফাটলের জল্পনা এদিন আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “দিলীপদা আমাদের পার্টির নেতা। উনি সর্বভারতীয় সভাপতি পদে শেষ ছিলেন। ওঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সুকান্ত মজুমদারের নেই। সর্বভারতীয় স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেটা আপনারা পরে জানতে পারবেন কী হয়েছে।”
এদিকে বিজেপির আরেক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় দিলীপ জল্পনা নিয়ে বলেন, “৫ বছর বয়স হওয়ার পরে আর বিজেপি-র সংগঠনে সক্রিয় থাকা যায় না। এটাই দলের নিয়ম। তাই আমার কাছে নেতাজি ইনডোরের সভায় যাওয়ার আমন্ত্রণ আসেনি।”
দেখুন আরও খবর: