পূর্ব মেদিনীপুর: ২০১২ সালে নিয়োগের বৈধতাকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের থেকে হলফনামা নেওয়া ও তদন্তের নামে হয়রানি বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে ডেপুটেশন (Deputation ) বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (Bengal Primary Teachers’ Association)। পুলিশি তদন্তের নামে শিক্ষক হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ না করলে আগামিদিনে বৃহত্তর আন্দোলন হুঁশিয়ারিও শিক্ষক সমিতির। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সমিতির রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সতীশ সাউ , রাজ্য কমিটির সদস্য সিদ্ধার্থ শংকর রায়, জেলা কমিটির সদস্য অশ্বিনী সামন্ত প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলায় ২০১২ সালে নিযুক্ত শিক্ষক – শিক্ষিকাদের রিক্রুটমেন্ট পদ্ধতি বিষয়ে শিক্ষা কমিশনার এক নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী এস. আই.দের মারফত ৩১/ ০৭/২০২৩ তারিখ থেকে ০৪/০৮/২০২৩ এর মধ্যে নিযুক্ত ৩৯৪২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে হলফনামা (Affidavit)দিতে হবে। পাশাপাশি পুলিশি তদন্তের নামে শিক্ষকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসকের নিকট বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখিয়ে জেলা শসকের দফতরে ডেপুটেশন জমা দেয়।
আরও পড়ুন: আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গুজরাতে গ্রেফতার বাংলার তিন যুবক
উল্লেখের বিষয়, স্কুল শিক্ষা দফতরের অনুমোদন অনুসারে জেলা কাউন্সিল নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছে, পরীক্ষা নিয়েছে, ইন্টারভিউ বোর্ডের প্যানেল ঠিক করে ইন্টারভিউ নিয়েছে। পরিশেষে শিক্ষকরা নিয়োগ পত্র পেয়েছেন। এই সমগ্র প্রক্রিয়ার মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজস্ব ভূমিকা কোথায় ? তাহলে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রত্যেককে হলফনামা (Affidavit) দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কিভাবে? জেলা কাউন্সিল এবং স্কুল শিক্ষা দফতর হাইকোর্টে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা না দিয়ে শিক্ষক – শিক্ষিকাদের ঘাড়ে বিষয়টির দায় চাপিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির।যা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।
জেলাশাসকের নির্দেশে পুলিশি তদন্তের নামে শিক্ষকদের থানায় ডেকে পাঠাচ্ছে। তাদের বাড়ি গিয়ে নথিপত্র সংগ্রহ করা, জিজ্ঞাসাবাদ করা -এসব কেন্দ্র করে অন্যায় অনৈতিক এবং অমর্যাদাকর। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য সতীশ সাউ বলেন -শিক্ষকদের কাছ থেকে হলফনামা নেওয়ার নির্দেশিকা প্রত্যাহার সহ নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত দায়ভার জেলা কাউন্সিল এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তরকেই নিতে হবে।” সেই সঙ্গে তিনি পুলিশি তদন্তের নামে শিক্ষক হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ না করলে আগামিদিনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হুমকি দেন।