জলপাইগুড়ি: বাবা মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমে আক্রমণের স্বীকার হয়েছেন বলে দাবি করলেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) তৃণমূলের এসটি, এসসি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাসের (Krishna Das) মেয়ে। ঘটনায় তিনজন গ্রেফতার (Arrest) হলেও যুব তৃণমূলের নেতা (Tmc Leader) সহ মোট ২২জন এখনও অধরা রয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও জেলা তৃণমূল সূত্রের দাবি, এটা রাজনৈতিক ঘটনা নয়।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা জেলা তৃণমূলের এসটি, এসসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোডোলিয়া বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে যান। এলাকার মহিলারা কৃষ্ণকে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপর প্রশাসনকে জানিয়ে কৃষ্ণ মাদক বিরোধী অভিযানে নামেন। অভিযোগ, সেই সময় পরিকল্পিতভাবে কৃষ্ণের উপর আক্রমণ করা হয়। নিজের খাসতালুকেই আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:Coromandel Express Derailed | রেল দুর্ঘটনায় পুরুলিয়ার ছয় যাত্রীর খোঁজ নেই
রবিবার জলপাইগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কৃষ্ণ দাসের মেয়ে প্রননিতা দাস। তিনি বলেন, “আমার বাবাকে খুব খারাপ ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এলাকার মহিলারা মাদকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। এই কারণে আমার বাবা ওই এলাকায় যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে বাবা আক্রমণের শিকার হন। আমি চাই, প্রশাসন বিষয়টি দেখুক। আজকে আমি এখানে কোনও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আসেনি। আমার বাবা আইন নিজের হাতে নেননি এবং দাদাগিরিও করেননি। কারণ একজন নাগরিক ও নেতা হয়ে মহিলাদের অভিযোগ পেয়ে খতিয়ে দেখাটা তাঁর কাজ। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। তিনজন গ্রেফতার হলেও মোট ২২জন এখনও অধরা। তিনি বলেন, আমি বাবার উপর আক্রমণের আজকে সঠিক বিচার চাই।