উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাট (Basirhat) গাছা আখারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের গাছা হাইস্কুলে অভিনব উদ্যোগ ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের। তৈরি হল রক্তের ডেটা ব্যাঙ্ক (Databank schools bloodBank)। আপতকালীন সময়ে রোগীর জন্য রক্তের খোঁজ পেতে অনেক সময় কালঘাম বেরিয়ে যায় রোগীর আত্মীয় পরিজনদের। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর পরিজনেরা দালাল ও ফড়েদের খপ্পড়ে পড়েন।
এবার সেই দিকে নজর দেখে অভিনব উদ্যোগ নিল সীমান্তের এই স্কুলটি।
সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রাম্য স্কুলের পড়ুয়ারা এক সময় পড়াশোনায় পিছিয়ে ছিল। বর্তমান প্রধান শিক্ষকের তৎপরতায় স্কুলের পরিকাঠামো নতুনভাবে সাজানোর পাশাপাশি স্কুলে স্মার্ট ক্লাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আগামিদিনে এলাকায় রক্তের ঘাটতি মেটাতে স্কুলের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তা নিজেদের সচিত্র পরিচয়পত্র উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিদিন স্কুল শুরুর আগে প্রার্থনার সময় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা রক্তের গ্রুপ অনুসারে লাইনে দাঁড়ায়। এভাবেই নিজেদের মধ্যে কার কোন রক্তের গ্রুপ তা নিজেরাই জানতে পারবে এবং আগামীদিনে একে অপরের রক্তের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: ৪ সদ্যোজাতকের মৃত্যু, হাবরায় নার্সিংহোম বন্ধ করে দিল স্বাস্থ্য দফতর
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুরশিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, “সীমান্ত এলাকায় পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রক্তদানের সচেতনতার মাধ্যমে আগামী দিনে এলাকায় রক্তের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করবে।” সব মিলিয়ে হাসপাতালে রক্তের আকাল দেখা গেলেও প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল থেকে যে আগামী দিনের রক্তদানের ব্রতী হিসেবে এলাকায় পথ দেখাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।
আরও অন্য খবর দেখুন