কলকাতা: দুর্যোগ ঘনাচ্ছে সাগরে। ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ‘মিগজাউম’ (Michaung)। দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। আর তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছে মৌসম ভবন। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে। এরপর গতিপথ পরিবর্তন করার সম্ভাবনা এবং শক্তি বাড়াতে পারে। ১ ডিসেম্বরে অতি গভীর নিম্নচাপ উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। ডিসেম্বরে এই ঘূর্ণিঝড় হলে তার নাম হবে মিগজাউম। মায়ানমারের দেওয়া এই নাম। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঘোষণা করা হয়নি।
আবহবিদেরা জানিয়েছেন, নিম্নচাপ যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তা হলে তা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও বঙ্গোপসাগরের এই ঘূর্ণিঝড় কোন পথে বা কোথায় ল্যান্ডফল করবে, সে বিষয়ে এখনও সুনিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি, রাজ্যে তার প্রভাব কতটা পড়বে বা কতটা ঝড়বৃষ্টি হবে, সে ব্যাপারেও এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে, বিভিন্ন আবহাওয়ার মডেল জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধপ্রদেশ উপকূলে বিজয়ওয়াড়া অথবা ওড়িশা উপকূলের ভুবনেশ্বরের মাঝামাঝি কোথাও ল্যান্ডফল হতে পারে। অর্থাত্ অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা ওড়িশা উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আরও পড়ুন: বদলে যাবে বাংলার আবহাওয়া, চড়বে পারদ, জানুন পূর্বাভাস
নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকবে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং বৃষ্টিপাত হতে পারে। ইতিমধ্যেই নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় মত্স্যজীবীদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন ও সাগর এলাকায় আজ ও কাল সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মত্স্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা একইভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
দেখুন আরও অন্য খবর