ওয়েবডেস্ক: ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর শুদ্ধিকরণ শুরু হয়েছিল সিপিএমে (CPM)। বেনো জল বার করার পন্থা নেওয়া হয়। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে যাওয়া পক্ককেশের বদলে নতুন মুখ তুলে নেওয়ার লক্ষ্যও নেওয়া হয়েছিল। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের মতো তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনা হয়েছে। তবু এখনও হালে পানি পায়নি কৃষকদের ভিত্তি করে এ রাজ্যে ক্ষমতা দখল করা সিপিএম। গ্রাম বাংলা থেকে জন প্রতিনিধি মুছে যাওয়ার সামিল। তবে সিপিএমে নেতারা গর্ব করেন তাঁরা একটি আদর্শ নিয়ে চলেন। পার্টি কর্মীরা (Party Workers) অনুশাসন মানেন। একদিন চাকা ঘুরবেই। আগামী বছর বিধানসভা ভোট। সিপিএমের রাজ্য কমিটির নতুন নির্দেশিকা (Directives) সামনে এল। সেখানে পার্টি কর্মীদের স্বচ্ছতার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের বিশ্বাস, প্রকাশ্য়ে টাকা নিয়েও কেউ বিজেপি, কেউ তৃণমূলের নেতা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখানে তারা সততার গর্ব করতে পারে।
চারিদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ উঠছে। তখন রাজ্য সিপিআইএম নয়া নির্দেশিকায় বলেছে, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রত্যেক উপার্জনশীল পার্টি সদস্যকে নিয়মিত ও নির্ধারিত হারে লেভি দিতে হবে। কলকাতা প্লেনামের নির্দেশ অনুযায়ী, পার্টির মোট অর্থ ব্যয়ের অন্তত ৭০ শতাংশ গণ অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে করতে হবে। পার্টির কাছে আয় গোপন করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পার্টির লেভি সঠিক ভাবে আদায় করতে হবে। কোনও শিথিলতা যেন এ ক্ষেত্রে না দেখা যায়। একসঙ্গে একাধিক সংগঠনের নেতৃত্বে থাকার প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: আবারও এক বাঙালির এভারেস্ট জয়, পড়ুন সেই লক্ষ্যভেদের গল্প
৩৪ বছরের জগদ্দল শাসন ক্ষমতা গিয়েছে। সেও নয় নয় করে ১৪ বছর হয়ে গেল। একজন বিধায়ক নেই এই রাজ্যে। ফলে ভাঁড়ারও তলানিতে। সেই জায়গায় পার্টির আয় বাড়াতে এখন থেকে পদক্ষেপ করাও এই বার্তার অন্যতম উদ্দেশ্য। তবে এই বিষয়ে রাজ্যের শাসকদল কটাক্ষ করেছে, সিপিএম সততার কথা বলুক আর যাই বলুক। সাইনবোর্ডে পরিণত হয়ে গিয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: