কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও দলদাস পুলিশ প্রশাসনের নক্করজনক ভূমিকা সহ ভোট লুঠ সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মিছিল। বৃহস্পতিবার বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও আইএসএফের তরফে এই মিছিল করা হয়। ধর্মতলার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে মৌলালি পর্যন্ত এই মিছিল হয়। প্রতিটি দলের প্রতিনিধিরা মিছিলে অংশ নেন। মিছিল শেষে একটি পথসভা আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী সহ বাম কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। ফলাফল বের হতেই বিরোধীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ সর্বত্রই উঠে আসছে। এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকাও সন্তোষজনক নয় বলে দাবি করছে রাজ্যের বিরোধীদলগুলি। কোথাও বোমাবাজি-গুলি চলছে। আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থী কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আসছে। এরই প্রতিবাদে এদিন রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিরোধীদল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মিছিল করে।
উল্লেখ্য, এদিনই পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আগামী কয়েকদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে, তা নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সতর্ক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা সহ শীর্ষ আধিকারিকেরা।
প্রায় এক ঘণ্টার এই বৈঠকে মুখ্যসচিবের নির্দেশ, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এরিয়া ডমিনেশন বা রুটমার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে লাগাতার চালিয়ে যেতে হবে বলেও নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। একইসঙ্গে যেসব জায়গায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, সেই সব এলাকায় কঠোরভাবে নজরদারি করার কথাও বলেন তিনি। প্রয়োজনে সেখানে আগেভাগেই কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।