কলকাতা: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election) সামনে রেখে নিজ নিজ কর্মসূচি শুরু করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। দিদির দুত নিয়ে তৃণমূল একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়লেও, বিরোধীদের শূন্যতা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন উঠছে। তাই সোমবার থেকেই যাত্রা শুরু করে দিল আলিমুদ্দিন। সিপিএম (CPIM) কলকাতা জেলা কমিটির (Kolkata District Commitee) ডাকে আজ, সোমবার বিকাল ৪টায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের সমাবেশ থেকেই সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechuri) বলেন, এই রাজ্যে মানুষের জন্য যদি কেউ লড়তে পারে, সেটা হল লাল ঝাণ্ডা। কেন্দ্রে বদল ঘটাতে এদিন জোট-বার্তাও শোনা যায় সীতারাম ইয়েচুরির গলায়। তিনি বলেন, ভারতকে বাঁচাতে হলে সব ধর্মনিরপেক্ষ দল গুলিকে এক হতে হবে। সবাইকে এক হতে হবে।
জনসমাবেশ থেকে সিপিআইএমের (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammed Selim) বলেন, গত জুন মাস থেকে আমরা যেখানে মানুষের কাছে গিয়েছি, সেখানেই মানুষের সাড়া পেয়েছি। তাঁরা কথা বলেছেন। অভিযোগ জানিয়েছেন। মানুষ দু-হাত তুলে আমাদের সাহায্য করেছে। এবার সকলের বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছতে হবে আমাদের। পাশাপাশি, তৃণমূল (TMC) ও বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল দুর্নীতি শিখেছে বিজেপির থেকে। রাজ্যটা উচ্ছন্নে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Gandhi Bhawan : গান্ধী ভবনে মালা দেওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা তৃণমূল-সিপিএমের
আইএসএফ (ISF) কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের আচরণের তীব্র নিন্দা করেন মহম্মদ সেলিম (Mohommed Selim)। বলেন, সেদিন নওশাদ সিদ্দিকী বললেন যাঁরা হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। উল্টে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এটা প্রতিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই। আইনি লড়াই চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ‘রক্ষা কর দেশের সংবিধান। পরাস্ত কর দাঙ্গাবাজ সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে, শক্তিশালী কর বিকল্পের লড়াই, বিকল্প বামপন্থাই’- এই স্লোগানকে সামনে রেখেই শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার রানি রাসমণি রোডে সোমবার সমাবেশের আয়োজন করে সিপিএম-এর কলকাতা জেলা কমিটি। সিপিএম দলের প্রতিষ্ঠার সময় ৯ জন পলিটব্যুরোর সদস্য ‘নবরত্ন’-এর নামাঙ্কিত ন’টি ব্রিগেড মিছিল করে সমাবেশে আসে। আর সেই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechuri), রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohommed Selim) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose), সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra), রামচন্দ্র ডোম সহ বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ।