নদিয়া: মাধ্যমিকে (Madhyamik Exam) মোটের উপর নদিয়ার রেজাল্ট খারাপ নয়। কিন্তু পরীক্ষায় অকৃতকার্যের সংখ্যাও তো নেহাত কম নয়। তবে অকৃতকার্য হওয়া মানেই কি জীবন থমকে যাওয়া? তা মানতে নারাজ নদিয়ার শিক্ষকরা। এই প্রেক্ষিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা অনুভব করে পড়ুয়াদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছচ্ছেন শিক্ষকরা। বাদ যাচ্ছে না ছুটির দিন রবিবারও।
কিছুদিন আগেই প্রকাশ পেয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। নদিয়া জেলাতে শতাংশের নিরিখে পাশের হার ভালোই। তবে সংখ্যার দিক থেকে অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া মানেই জীবন থমকে যাওয়া, তা কিন্তু নয়। বরং নিজের দুর্বলতাকে অনুশীলনের মাধম্যে পুনরায় কৃতকার্য হওয়াই একজন ছাত্র কিংবা ছাত্রীর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মত নদিয়ার শিক্ষকদের। তাই এবার শিক্ষক শিক্ষিকারা নিলেন বিশেষ উদ্যোগ। গ্রীষ্মের ছুটি পড়ে গিয়েছে, আর তার মধ্যেই নদিয়ার ফুলিয়া বিদ্যামন্দির বিদ্যালয়ের (Fulia Vidyamandir High school) যেই ১৩ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হয়েছে, তারা যাতে আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই প্রচেষ্টায় এবার সেই ছাত্র ছাত্রীদের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।
আরও পড়ুন: আন্দোলনরত শিক্ষকদের শোকজ করল মধ্যশিক্ষা পর্যদ
অনেক সময় জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় ফল ভালো না হওয়ায় বা অকৃতকার্য হওয়ার পরে পরিবার ও পারিপার্শ্বিক লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তাঁরা। আর তার জেরে অনেক সময় বেশকিছু পরীক্ষার্থী চরম সিদ্ধান্তও নিতেও পিছপা হয় না। সেরকম কোন পরিস্থিতি যাতে না সৃষ্টি হয়, সেই কথা মাথায় রেখে এবার ফুলিয়া বিদ্যামন্দির বিদ্যালয়ের শিক্ষক – শিক্ষিকারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের কাউন্সিলিংয়ের জন্য উদ্যোগ নিলেন। শিক্ষকদের এই উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানাচ্ছেন।
অন্য খবর দেখুন