কটক: বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় বাংলার শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কটক হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও ৯৭ জন চিকিৎসাধীন। আজ পর্যন্ত ১০৩ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁর আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তিনি আরও জানান, রাজ্যের ৩১ জন মানুষের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা এবং ওড়িশা এক হয়ে কাজ করছে। তিনি ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তার নার্স- সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কটকে যান রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী, শশী পাঁজা এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কটক থেকে তিনি মেদিনীপুর হাসপাতালে আসেন। সেখানেই ওই দুর্ঘটনায় জখম অনেকের চিকিৎসা চলছে। কটক এবং মেদিনীপুরের দুই হাসপাতালেই রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন। মেদিনীপুর হাসপাতালে ৬১ জন ভর্তি রয়েছেন। এদিন রাতে তিনি মেদিনীপুরের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সার্কিট হাউসে তাঁর রাত্রিবাস করার কথা।
আরও পড়ুন: Submarine | জার্মানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৬টি ডুবোজাহাজ আনছে ভারতীয় নৌসেনা
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর চার দিনের সফরে দার্জিলিং যাওয়ার কথা ছিল। সেইমতো দার্জিলিং জেলা প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থাও করে রেখেছেন। কিন্তু সোমবার বেলা তেই মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি বাতিল করেন। দার্জিলিং সফর বাতিল করে তিনি কটক যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বালেশ্বর গিয়েছিলেন। সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্যের হতাহতদের পরিবারপিছু ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, আগামিকাল বুধবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের মতে ক্ষতিপূরণের চেক এবং চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারেন। বিভিন্ন জেলার প্রশাসনকে সে রকমই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়নি।