কলকাতা: রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক আছে। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিভিন্ন সময়ে তোপ দেগেছেন রাজ্যের গৃহীত সিদ্ধান্ত নিয়ে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার পালটা রাজ্যপাল জগদীপের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। এই বিশেষ দিনে দলের পক্ষ থেকে একটি ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে সকলের শেষে বক্তব্য রাখেন দলনেত্রী। অত্যন্ত কড়া ভাষায় নানাবিধ ইস্যু নিয়ে আক্রমণ করেন বিজেপিকে। সেই সঙ্গে এদিন মমতার নিশানায় ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। দলের ছাত্র সংগঠনের মঞ্চ থেকেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা দাবি করেছেন যে রাজ্য সরকারকে নানাবিধ বিষয় নিয়ে ‘ব্ল্যাকমেল’ করেন রাজ্যপাল ধনকড়। কোনও ফাইল সই করার থাকলে তা আটকে দেন। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যের আইনসভায় পাস হওয়া বিল আইনে পরিণত হওয়ার জন্য রাজ্যপালের সই প্রয়োজন। অন্যথায় ওই বিল আইনে পরিণত হবে না। আর সেই কাজ করতেই নাকি ব্ল্যাকমেল করেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়
শুক্রবার রাত থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে অচলাবস্থা। বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে বরখাস্ত করার কারণে উপাচার্যের দফতর ঘেরাও করেছে তৃণমুল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। এই আন্দোলনের পিছনে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেছেন, “বিশ্বভারতীর বোর্ড মেম্বার সকলেই বিজেপি। রাজ্যপাল এ নিয়ে কিছু বলেন না তো? ওনার লোক থাকতে হবে সব জায়গায়। নইলে একটা ফাইল সই করাতে গেলেই ব্ল্যাকমেল করেন।”
আরও পড়ুন- প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনই টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, অভিযোগ উড়িয়ে বহিরাগতদের দিকে আঙুল
এদিন মমতার আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মঞ্চে বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র বিরোধী স্বরকে প্রথমেই তীব্র করেছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ভাইপোর কথার রেশ টেনেই মমতার হুঁশিয়ারি, কোনও রকম চাপের কাছে মাথানত করবে না তৃণমূল। যে ভাবে বেশ কিছুদিন ধরে জগদীপ ধনকড় রাজ্য সরকারকে বিব্রত করে করে চলেছে তারও কড়া ভাষায় নিন্দা করেন মমতা। তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট মন্তব্য, ‘ রাজ্যপালের এই ভূমিকা মানুষ মেনে নেবেন না।’