কলকাতা: মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) সঙ্গে মেয়র পরিষদ তারক সিংয়ের (Tarak Sing) খিদিরপুরে জল জমা বিতর্ক থামার লক্ষণ নেই। বৃহস্পতিবার ফের একটি প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করে আরও বিতর্ক উসকে দিলেন নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং। এদিন তারক সাফ জানান, যদি তিনি দোষী হন, তাহলে নিজের চেয়ার ছেড়ে দেবেন। এদিন ৩১ অগাস্টের খিদিরপুরে জল জমা নিয়ে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট (Report) প্রকাশ্যে আনলেন। যদিও এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ ফিরহাদ।
সেই রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে, সেদিন দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ব্যাপকভাবে বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৭৯ মিলিমিটার। যার ফলে মোমিনপুর, দেবী চৌধুরী রোড, জ্বালা লেন, হুসেইন শাহ রোড, ব্রাউনফিল্ড লেন, মেহের আলি রোডে সহ বিন্দু বাসিনী স্ট্রিট পর্যন্ত জলমগ্ন ছিল। আর সেই কারণে সেদিন ৩১ অগাস্ট সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত হুগলি নদী এবং টালি নালা এবং বোট ক্যানালের সমস্ত পেনস্টক লক গেট বন্ধ ছিল। অথচ সেদিন মেয়রকে ভুল তথ্য পরিবেশিত করা হয়েছিল বলে অভিযোগও করেন তারক। তাঁর আরও অভিযোগ, সেদিন টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে যে দুজন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন, যাঁদের কাছে এই রিপোর্ট ছিল। কিন্তু তারপরেও সেই আধিকারিকরা কমিশনার বিনোদ কুমার বা মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে দেননি বলে মারাত্মক অভিযোগ করলেন তিন।
আরও পড়ুন: রেলের কাজের জন্য জমি অধিগ্রহণ দরকার, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রেল মন্ত্রীর
তিনি আরও একবার অভিযোগ করেন, কিছু আধিকারিক আছেন যারা মেয়রকে সঠিক তথ্য পরিবেশন না করে বিভ্রন্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। একদিকে আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে অন্যদিকে ২৮ অগাস্ট জল জমার বিতর্কের দুদিন আগেই মেয়রের দফতর থেকে আমাকে একটা প্রসংশা চিঠি দেওয়া হয়। যেখানে নিকাশি বিভাগের জল জমা পরিস্থিতি দ্রুত নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। আর এই প্রসংশার অনুমোদন খুদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পক্ষ থেকেই দেওয়া হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেন তারক। তবে জল জমা বিতর্কে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়লেও তার বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত জমা পড়েনি বলেও জানান তিনি। আর সেই রিপোর্টে যে বা যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।