মুর্শিদাবাদ: সন্তান প্রসবের আরও ১৫ দিন বাকি রয়েছে বলে হাসপাতাল ফিরিয়ে দিয়েছিল এক প্রসূতিকে। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে বাড়ির ফেরার সময় রাস্তাতেই সন্তান প্রসব করলেন এক গৃহবধূ। পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালের গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। বিরোধীরা বলছে, এই ঘটনাই বুঝিয়ে দিচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল কি।
ঘটনা রানিনগর এলাকার। হারুডাঙা তালতলার বাসিন্দা ওই মহিলা প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ব্যথা কিছুটা কমে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, সন্তান প্রসবের এখনও দিন ১৫ সময় রয়েছে। তাই ওই মহিলাকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন এদিন তাঁকে ছুটি করিয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। ফেরার পথে অ্যাম্বুল্যান্সে তীব্র প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি সন্তানের জন্ম দেন।
আরও পড়ুন: মেট্রোয় নাবালিকার পাশে দাঁড়িয়ে হস্তমৈথুন! তারপর কী হলো পড়ুন
জেলার হাসপাতালগুলির স্বাস্থ্য পরিষেবার মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বুধবার রাতেই জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ ওঠে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রের খবর, এক শিশুকন্যার পায়ে যন্ত্রণার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসে এক দম্পতি। ডাক্তার প্রেশক্রিপশন লিখে দেওয়ার পর ওই শিশুর বাবা হাসপাতাল থেকে ওষুধ চান। তা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বচসা হয়। তার মধ্যেই হঠাৎ চিকিৎসকরা প্রশান্ত রায় ও জোৎস্না রায় নামে ওই দম্পতিকে টানতে টানতে ইর্মাজেন্সি ওয়ার্ডের ভিতরে নিয়ে যান। সেখানে প্রশান্তকে চিকিৎসরা মারধরও করেন বলে অভিযোগ। এমনকী ওয়ার্ডের গেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের প্রশান্তেক মারতে দেখে হাসপাতালে হাজির অন্যরা মারমুখী হয়ে ওঠেন। তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়। মূল অভিযোগ ওঠে দেবদাস মণ্ডল এবং সাধন সরকার নামে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তাঁরা অবশ্য ওই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।