কলকাতা: লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে একাধিক জেলায়। পরিস্থিতি মোকাবিলা থেকে শুরু করে উদ্ধারকার্য নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্য সচিব (Chief Secretary) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (HK Dwibedi)। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার জেলাশাসক ও কলকাতা পুরসভার কমিশনারও বৈঠকে যোগ দেন। অতিবৃষ্টির জেরে কোথায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বাসিন্দাদের দুর্ভোগ মেটাতে কী ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এসবই পর্যালোচনা করেছেন মুখ্য সচিব।
সূত্রের খবর, আসন্ন নির্বাচন এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি মোকাবেলায় জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনভাবেই যাতে এই সব এলাকায় জল না জমে সেটা দেখতে হবে। জল জমলে পাম্প ব্যবহার করে জল বের করতে হবে। কলকাতাতে এনডিআরএফ টিম রাখতে হবে। নিউটাউন, বিধাননগর একাকার জল জমা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন মুখ্য সচিব। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতি মুকাবিলা যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে নদীপথ গুলি পরিদর্শন করবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকরা। ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত মজুত রাখা, প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত উদ্ধারের কাজ সম্পন্ন করার পরামর্শ মুখ্য সচিবের।
আরও পড়ুন-কথা রাখল হাসিনা সরকার, বাংলাদেশ থেকে ১৫ টন ইলিশ পৌঁছল পেট্রাপোল সীমান্তে
পরপর দুদিনের টানা বর্ষণে জল জমেছে শহরের একাধিক জায়গায়। টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, তারাতলা, ভবানীপুর, মিন্টো পার্ক, ক্যামাক স্ট্রিট জল থই থই। ঠনঠনিয়া, ক্য়ামাক স্ট্রিট, মিন্টো পার্ক, ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, সেক্টর ফাইভ, চিনার পার্ক, কাঁকুড়গাছি, কৈখালি এলাকা জলমগ্ন। গঙ্গায় জলের স্তর বাড়তে শুরু করেছে। শহরের নিকাশি নালার জল কীভাবে গঙ্গা দিয়ে বের করবে, তা নিয়ে তা নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা, অজানা জ্বর তো রয়েইছে, এরইমধ্যে ডেঙ্গির আতঙ্কও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।